হঠাৎ হাঁপানি উঠেছে, অথবা কাশতে কাশতে দম বের হয়ে যাচ্ছে। হাতের কাছে ইনহেলার বা ভালো কোন ঔষধ নাই।
অথবা এলার্জির জন্য হাঁচি হতেই আছে, থামার নামগন্ধ নাই, চোখ চুলকিয়ে অবস্থা কেরোসিন হয়ে যাচ্ছে, ঔষধ খেয়ে খেয়ে বিরক্ত।
অথবা রোজা আছেন তাই ঔষধ খেতে পারছেন না।
কি করবেন?
দুই হাত মুনাজাতের মত করে মুখের কাছে আনবেন, এরপর হাতের ওপর সুরা ফাতিহা পড়বেন কয়েকবার। এরপর হাত দিয়ে একদম অক্সিজেন মাস্কের মত করে নাকমুখ ঢেকে নিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিবেন। এভাবে কয়েকবার করবেন। ইনশাআল্লাহ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ব্যাপারটা এমন, যেন আপনার হাতটাই অক্সিজেন মাস্ক, সেখানে ঔষধ দেয়া আছে, তা নিশ্বাসের সাথে টেনে নিয়ে আপনি উপকৃত হচ্ছেন।
অল্প কথায় বললে, আপনার দুইহাতকে অক্সিজেন মাস্কের মত করে মুখের কাছে নিয়ে সুরা ফাতিহা পড়বেন, এরপর জোরে জোরে নিশ্বাস নিবেন। এভাবে কয়েকবার করবেন। ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ ফুঁ দেয়া লাগবে?
– নিজের জন্য করলে ফুঁ দেয়ার দরকার নাই, শুধু পড়ে শ্বাস নিলেই হবে। বাচ্চা অথবা অন্য কারও সমস্যার জন্য হলে আপনি পড়ে তার হাতে ফুঁ দিয়ে দিন, সে শ্বাস নিবে।
এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের রোগ থেকে শুরু করে সাধারণ সর্দিকাশি, সবক্ষেত্রেই এটা উপকারী। দীর্ঘস্থায়ী ফায়দার জন্য প্রতিদিন এই রুকইয়াটি করুন।
সংযুক্তিঃ এলার্জির জন্য শরীরে চুলকানি র্যাশ ইত্যাদি হলে এই রুকইয়ার সাথে কিছুদিন বরই পাতার গোসল বা সাধারণ রুকইয়ার গোসল করলে উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।
আমি এটা থেকে বেশ উপকার পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। এখন আর এলার্জির ওষুধ সাথে নিয়ে ঘোরা লাগে না। সেদিন ভোরে এক সহপাঠী বড় ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে, এমন খারাপ অবস্থা যে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে, সেই সময় উনাকে এই রুকইয়াটা করতে বললাম, আলহামদুলিল্লাহ কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবস্থা স্বাভাবিক।
আপনার অভিজ্ঞতা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
উপকারী মনে হলে অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন…
মন্তব্য করুন