Ruqyah Support BD

মাদকাসক্ত ব্যক্তির জন্য পরামর্শ

এই পোস্টে আমি বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরে কিছু কথা লেখার চেষ্টা করবো। হয়ত কারও জন্য উপকারী হবে। কেউ কোনো উপকার পেলে ফিডব্যাক জানালে ভাল লাগবে।
ক) মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির প্রথম ও সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলে নিজে এই আসক্তি থেকে বের হতে চেষ্টা করা। কেউ যদি নিজে এই পথ থেকে ফিরে আসতে না চায় তাহলে তাকে বের করে আনা অসম্ভবের কাছাকাছি। সে যেকোনো ছুতোতেই হোক ঐ পথে হাটবে।
খ) রিহাব বা কোনো সংশোধন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।
গ) কোনো বিজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা করানো যেতে পারে।
ঘ) যদি রুকইয়াহ সংক্রান্ত সমস্যা ধরে নিয়ে হিসেব করতে চাই তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
১। মাদকাসক্ত ব্যক্তি জিন-জাদুতে আক্রান্ত হতে পারে। তাই বলে জিন-জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি মাদকাসক্ত হবে সহসা এমন সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে বলে মনে করি না।
২। অনেকে দেখা যায় রিহাব থেকে আসার পর কিছুদিন ঠিক থাকে এরপর আবার আগের পথে চলে যায়। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে,
  1. তিনি যেন আগের বন্ধু-বান্ধবদের পাল্লায় না পড়েন।
  2. একা একা বাইরে সময় না কাটান। কোন কারনে বাইরে গেলে যথাসময়ে যেন ফিরে আসেন।
  3. রুহানী তথা আত্মীক শক্তি যেন বৃদ্ধি পায় সেজন্য কোন বিজ্ঞ আলেমের পরামর্শে আমল করা যেতে পারে। সাধারনত তাহাজ্জুদ, পরোপকার, দৃষ্টির হেফাজত দ্বারা আত্মীক শক্তি বাড়ে। পাপ না করার শক্তি অর্জন হয়, নফসের উপর জয়ী হওয়া যায়।
  4. কোনো আলেমের তত্ত্বাবধানে কোন ফ্যামিলি মেম্বারসহ দীর্ঘসময়ের জন্য তাবলীগের সফরে যাওয়া যেতে পারে। এতে করে আমলের উপর উঠা সহজ হবে ইংশাআল্লাহ। পাশাপাশি সালাত আদায় করার জন্য বেসিক কিছু সুরাও দখলে চলে আসবে ইংশাআল্লাহ। দীর্ঘ সময় মাদক থেকে দূরে থাকার ফলে টান চলে যাবে ইংশাআল্লাহ।
  5. বদনজরের রুকইয়াহ করা যেতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে। প্রতিদিন বদনজরের অডিও শোনা বা তেলাওয়াত করা। আর বালতিতে হাত দিয়ে যে গোসলটা আছে সেটা করা। পাশাপাশি আয়াতুল হারক (আযাব ও জাহান্নাম সংক্রান আয়াত)  তেলাওয়াত করা বা শোনা
এভাবে চালিয়ে যাওয়া। যদি লুকান কোনো সমস্যার কারনে পদস্থলন হয়ে থাকে তাহলে সামনে আসবে ইংশাআল্লাহ। আর শয়তানে কানপড়া থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে আল্লাহর হুকুমে।
২-৩ মাস করার পর কেউ যদি জানান তাহলে যদি বাড়তি কিছু সংযোজন করা লাগে তাহলে সেটা করবো ইংশাআল্লাহ।
ঙ) মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে কিছুই করানো সম্ভব না। সে রিহাবে যাবে না, রুকইয়াহ করবে না, ডাক্তারও দেখাবে না। যদি এমন হয় তবে আমার পরামর্শ হল তার জন্য বেশি বেশি করে দুয়া করতে থাকা। আল্লাহ তায়লা যেন তার মধ্যে এই বুঝটা তৈরি করে দেন। সে যেন এই পথ থেকে ফিরে আসতে পারে। আর তার নিয়তে উক্ত রুকইয়াহ (উপরে ৫ নং পয়েন্টের)  করা যেতে পারে। তাকে সম্ভব হলে দুয়া পড়ে পড়ে ফু দেয়া। বদনজরের নিয়মে গোসলের পানি রেডি করে গোসল করতে দেয়া। না হলে নিজেই সবকিছু করা। (আরও বিস্তারতি এখানে )
সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কাজেই ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতে হবে। হতাশ হলে চলবে না।
আল্লাহ আপনাদের সফলকাম করুন। আমীন।
[আরও কিছু মনে পড়লে পরে যোগ করবো ইংশাআল্লাহ।]

মন্তব্য করুন