যারা ফোন অথবা হোয়াটসএপে পরামর্শ নেন – আপনারা স্মরণ রাখবেন আমি আপনাকে কোনো কোর্স করাচ্ছি না। আপনার “এই হল কেন? ঐ হল কেন?”- এই টাইপের বিব্রতকর কোন প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আশা করবেন না।
এসব প্রশ্নে আমি যথেষ্ঠ বিরক্ত বোধ করি। আপনার মাথায় কেন ব্যথা এর কারণ জানবেন আপনি। কী এমন কাজ করলেন যে, আপনার মাথায় ব্যথা হয়ে গেল? আর জানবেন আপনার ডাক্তার। তিনি নানান ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন মাথায় কিছু আছে কিনা। স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আপনার মাথায় জিন আছে কিনা, জাদু আছে কিনা- এটা দেখার জন্য কোনো এক্সরে মেশিন বা ল্যাব টেস্ট বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করতে পারেন নি। যেদিন পারবেন সেদিন আপনাকে দিয়ে টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররাও বলতে পারবে, আমিও পারবো ইংশা আল্লাহ। তার আগ পর্যন্ত এসব অর্থহীন প্রশ্ন “আমাকে” না করাই ভাল।
রাকিরা জানে, আমি নিজেও বলি, আমি তেমন কিছু জানি না। কাজেই আপনাদের এসব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। যদি জানতাম বা কোর্স করাতাম তাহলেও এসব বিষয় আপনাদের সাথে আলোচনা করতাম না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার নিকট “উপকারী বিদ্যা”র জন্য দুয়া করেছেন। (হাদিস নাম্বার দিতে পারলাম না দুঃখিত)। সবধরনের বিদ্যার জন্য দুয়া’ করেন নি। আমি মনে করি, এসব প্রশ্নের উত্তর জানা আপনার জন্য এখন উপকারী নয়, দরকারও নেই। আমার এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসার মত কিছু এখনো পাই নি। বুঝে শুনে আমি আপনার অপকার করতে পারবো না।
রুকইয়াহ ফিল্ডে প্রত্যেকটা রাকি, পরামর্শকের এপ্রোচ ভিন্ন বলেই ধারনা করি। কাজেই আমার এপ্রোচ আপনার পছন্দ না হলে, সন্তোষজনক না লাগলে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন না। আরও যারা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। সেটাই ভাল হবে।
আপনাদের প্রবলেম শুনে ধারনা করার চেষ্টা করি এটা লাইফস্টাইলের সমস্যা, নাকি ডাক্তারি সমস্যা নাকি জিন-জাদুর সমস্যা। এই “ধারনার” কথা শুনে আপনি কি করবেন? ধারনা বা সম্ভবনার উপর ভিত্তি করে একটা পরামর্শ দেবার চেষ্টা করি যেটাতে আপনার সর্বাধিক উপকার হবে বলে আল্লাহ তায়লার উপর আমি আশা করি। কিভাবে/কেন এসব আলোচনা করার মত সময়, সুযোগ, ইচ্ছা – কোনটাই আমার নেই।
কেউ যখন খুটিয়ে এসব প্রশ্ন করে বা ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে জিজ্ঞেস করে তখন সেটা বুঝতে পারি এবং নেগেটিভলি নেই। তখন আর পরামর্শ দেয়ার আগ্রহ থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই সরাসরি কোনো রাকির কাছে যেয়ে কথা বলতে বলি। মাশাআল্লাহ, তারা আমার চেয়ে জ্ঞানী।
আরেকটা কারণ হল, কথা মুখ থেকে মুখে পালটে যায়। আমি বললাম, আপনার “হয়ত” বদনজরের সমস্যা আছে। আপনি গিয়ে আরেকজনের কাছে বলবেন, আহমাদ রবীন ভাই বলেছেন, আমার বদনজরের সমস্যা আছে। “হয়ত” বাদ পরে গেল। উক্ত ব্যক্তি আপনাকে রুকইয়াহ করার পর জিনের সমস্যা প্রকাশিত হল। তখন আপনি এবং আপনার পরিবারস্থ লোকেরা আমার উপর নেগেটিভ ধারনা করবেন এবং এই ধারনা বাজারজাত হয়ে যাবার সমূহ সম্ভবনা থাকবে। যার গুনাহ আপনার আমলনামায় চলতে থাকবে।
এইগুলো আমার অতিকল্পনা না, বাস্তবতা। ব্যক্তিগতভাবে আমার নানারকম ব্যস্ততা থাকে। আপনার সাথে যখন কথা বলছি তখন কোনো কাজ ফেলে রেখে বলছি। মানে আপনাকে প্রায়রিটি দিচ্ছি। এর গুরুত্ব দিবেন। যেভাবে কথা বললে দ্রুততম সময় আপনি সর্বাধিক উপকৃত হতে পারেন সেভাবেই কথা বলবেন।
মন্তব্য করুন