আগে মাঝে মাঝে এমন অভিযোগ পাওয়া যেত যেখানে বলা হত ruqyahbd.org/download সাইটে যে অডিও আছে সেখানে ভুল রয়েছে বা পড়া বোঝা যাচ্ছে না বা এমন করে কেন পড়ে? যদি জিজ্ঞেস করা হত কেমন ভুল, তখন উত্তর আসতো এমন, সুরা ইখলাসে আমরা পড়ি “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুছ্ছমাদ” কিন্তু অডিওতে আছে “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদুনিল্লাহুছ্ ছমাদ” (বাংলায় আরবীর মূল উচ্চারণ লেখা সম্ভব নয়)
তাহলে আমরা যেটা পড়ি সেটা ভুল পড়ি? নাকি ক্বারি সাহেবের পড়া ভুল?
অডিও শুনে দেখা গেল, শাইখ সাদ আল গামিদি এভাবে তেলাওয়াত করেছেন। শাইখ সুদাইসও কোন একটা অডিওতে এভাবে পড়েছেন। এছাড়া শাইখ সুদাইস (সম্ভবত) সুরা বাকারা শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াতের সময় যের কে যবর পড়েছেন। প্রশ্ন এখানেও।
আসলে কোনটাই ভুল নয়। আমাদের জানার কমতি। সুরা ইখলাসের প্রথম আয়াতের শেষ শব্দটি হল “আহাদুন”, দুই পেশ তথা তানভীন। এখানে যখন আমরা ওয়াকফ করি তখন পেশ পরিবর্তন করে আরবীর নিয়ম অনুযায়ী “সাকিন/জযম” পড়ি। উচ্চারন করি “আহাদ” (ক্বলকলা সহ) ।
এখন কেউ যদি প্রথম আয়াতের সাথে দ্বিতীয় আয়াত মিলিয়ে পড়তে চায় তাহলে তার নিয়ম কি হবে?
পরের আয়াতের প্রথমেই দেখন আলিফ, লাম আছে। নিয়ম হল, নুন সাকিন, তানভীনের পর আলিফ, লাম থাকলে এবং মিলিয়ে পড়তে চাইলে নুন সাকিন, তানভীনের নুনকে যের দিয়ে পরের শব্দের সাথে মিলিয়ে পড়তে হবে।
কাজেই “আহাদুন” শব্দের নুনে যের দিয়ে পরের শব্দের তাশদীদকে ধরতে হবে। অর্থাৎ আল্লাহ শব্দের প্রথম আলিফ,লাম আর পড়ায় আসবে না। পরের লাম আর হা পড়ায় আসবে। তখন উচ্চারণ হবে, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদুনিল্লাহুছ্ ছমাদ” এর মত।
যেটা ক্বারী সাহেবরা পড়েন। তারা মক্কার ইমাম। ইমামতি এমনি এমনি পায় নি।
একইভাবে সুরা বাকারার শেষ আয়াতে কোন একটা অংশে যেরকে শাইখ সুদাইস একটু মোটা করে পড়েন। কারও কারও শুনতে যবরের মত লাগে। এই মোটা করে পড়ারও কায়দা থাকতে পারে।
সাধারণত শব্দের ব্যাপারে অতিরিক্ত খুতখুতে ভাব দেখা যায় ওয়াসওয়াসা রোগীদের, কারও এমন সমস্যা থাকলে ওয়াসওয়াসার রুকইয়াহ করা উচিত। লিংক ওয়াসওয়াসা সমস্যার জন্য সংক্ষিপ্ত পরামর্শ।
আল্লাহই ভাল জানেন।
মন্তব্য করুন