[ক]
রুকইয়াহ শারইয়াহ সিরিজ এবং রুকইয়াহ বইয়ের বিভিন্ন লেখার মাঝে রুকইয়ার আয়াতের লিস্ট দেয়া হয়েছে, তবু মাঝেমাঝেই দেখা যায় অনেকে রুকইয়ার আয়াতের তালিকা চাচ্ছেন। এমন ভাইবোনদের জন্য আজকের এই লেখাটি।
এই আয়াতগুলো নিজের সুস্থতার নিয়াতেও পড়া যাবে, অন্য কারও সমস্যা থাকলে এগুলো পড়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করা, পানি খাওয়ানো বা গোসল করানো যাবে। আয়াতগুলোর ব্যাপারে এখানে এরচেয়ে বেশি বিবরণ বা ফজিলত বলা সম্ভব হচ্ছে না; এটা শুধুমাত্র আয়াতের তালিকা। বিস্তারিত জানতে ‘রুকইয়াহ ইনডেক্স’ থেকে এবিষয়ক অন্যান্য প্রবন্ধ পড়ুন।
দ্রষ্টব্য-১: আয়াতগুলো একত্রে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের পিডিএফ ডাউনলোড সেকশন 📂 দেখুন। ‘রুকইয়াহ’ বইয়ের শেষে প্রয়োজনীয় কিছু আয়াত পাওয়া যাবে, আর অনেকগুলো আয়াত নিয়ে একটা পুস্তিকার কাজ চলছে, ইনশাআল্লাহ কয়েক মাস পর সেটা প্রকাশ হবে।
দ্রষ্টব্য-২: আপনার কোন সমস্যা থাকলে নির্ধারিত সময়ে সেটা গ্রুপে পোস্ট করুন। এই লেখার কমেন্টে পরামর্শ দেয়া হবে না। (প্রয়োজনীয় লিংকসমূহ সংযুক্ত হয়েছে)
[খ]
রুকইয়ার সাধারণ/প্রসিদ্ধ/কমন আয়াত সমূহের তালিকা –
এগুলো রুকইয়ার সাধারণ আয়াত বা কমন আয়াত, যেকোনো সমস্যার জন্য এসব পড়া যায়।
১. সুরা ফাতিহা
২. সুরা বাকারা ১-৫
৩. সুরা বাকারাহ ১০২
৪. সুরা বাকারাহ ১৬৩-১৬৪
৫. সুরা বাকারাহ ২৫৫
৬. সুরা বাকারাহ ২৮৫-২৮৬
৭. সুরা আলে ইমরান ১৮-১৯
৮. সুরা আ’রাফ ৫৪-৫৬
৯. সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২
১০. সুরা ইউনুস ৮১-৮২
১১. সুরা ত্বহা ৬৯
১২. সুরা মু’মিনুন ১১৫-১১৮
১৩. সুরা সফফাত ১-১০
১৪. সুরা আহকাফ ২৯-৩২
১৫. সুরা আর-রাহমান ৩৩-৩৬
১৬. সুরা হাশর ২১-২৪
১৭. সুরা জিন ১-৯
১৮. সুরা ইখলাস
১৯. সুরা ফালাক
২০. সুরা নাস
[গ]
সিহরের আয়াতের তালিকা –
জাদুর সমস্যার জন্য এই আয়াতগুলো পড়ে রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুঁক করা যায়।
১. সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২
২. সুরা ইউনুস ৮১-৮২
৩. সুরা ত্বহা ৬৯
অনেকসময় এর সাথে সুরা বাকারাহ ১০২ আয়াতও পড়া হয়।
[ঘ]
আয়াতুশ শিফার তালিকা –
অন্যান্য শারিরিক-মানসিক সমস্যার জন্য এই আয়াতগুলো পড়ে রুকইয়াহ করা যায়।
১. সূরা তাওবাহ ১৪
২. ইউনুস ৫৭
৩. নাহল ৬৯
৪. বানি ইসরাইল ৮২
৫. শু’আরা ৮০
৬. হা-মিম সাজদা ৪৪
[ঙ]
এসব ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধ, এর বাহিরে আরও অনেক আয়াত আছে রুকইয়ার জন্য উপকারী। সেসব প্রসঙ্গক্রমে বিভিন্ন লেখায় এসেছে। আজ এপর্যন্তই…।
আল্লাহ আমাদের উপকারী ইলম দান করুন, ক্ষতিকর ইলম থেকে হিফাজত করুন। আর যা ইলম দান করেছেন, তা থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
মাফ করবেন।আমি বদ নজরের রুকইয়াহ করার আয়াতের কথা বলছিলাম।আপনিও কি সেটার কথাই বললেন।
ফেসবুক গ্রূপে দেখলাম বদ নজরের জন্য আলাদা আয়াতের লিস্ট দেয়া আছে।কিন্তু বইয়ে দেখলাম বদ নজরের ক্ষেত্রে রুকইয়াহ শরীয়ার আয়াত পড়তে।এক্ষেত্রে কোনটি পড়বো?
বদনজরের জন্য সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি এবং তিনকুল পড়াই ইনাফ। আরও বেশি পড়লে পড়তে পারেন। ধরাবাধা নাই।