দীর্ঘদিন ধরে রুকইয়াহ করছেন কিন্তু সমস্যা এক জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের জন্যও কয়েকটা টিপসঃ
১। সরাসরি রুকইয়াহ করা।
রাকি নিজেরা খুজে নিবেন। ভাল রাকি চেনার উপায় সম্পর্ক জানতে কবিরাজ সম্পর্ক জানতে হবে, রুকইয়াহ কি, কিভাবে করে এইগুলা জানতে হবে। সবই এখানের লেখাগুলোতে পাবেন- ব্লগের সকল পোস্টের তালিকা
২। ঘরে তন্ন তন্ন করে খুজে দেখতে হবে তাবিজ বা সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা।
তাবিজ খোজার কথা বললে যেসব প্রশ্ন আসে তা হল, তাবিজ কখনো ব্যবহার করিনি/আগে করতাম ফেলে দিয়েছি/তাবিজ কিভাবে আসবে/না, না, তাবিজ নেই – এসব।
তাবিজ আছে কি নেই সেটা কথা না, তাবিজ খুজতে বলেছি খুজেন। না পাওয়া গেলেতো নাই, কিন্তু যদি পাওয়া যায়? বালিশ টিপে টিপে খুজে, তোশকের চিপায় দেখেন উলটে পালটে। আলমারির কাপড়ের ফাকে দেখেন, ওয়ারড্রোবের ভিতরে দেখেন। আপনার বাসার আশে-পাশে গাছে কিছু ঝুলছে? নামিয়ে এনে নষ্ট করেন।
কয়েকমাস আগে খুজেছিলেন? আবার খুজেন। মনে করেন, খুব দামি কিছু হারিয়েছে। সেটা যেমন তন্ন তন্ন করে খুজতেন তাবিজও সেভাবেই খুজেন। শুরু করার আগে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান দুই রাকাত সালাত আদায় করে, যেন তিনি গোপন তাবিজ প্রকাশ্যে এনে দেন।
যারা দেয়াল ছিদ্র করে তাবিজ ঢুকিয়েছেন তারা সম্ভব হলে দেয়াল ভেঙে বের করেন। মেঝেতে যারা ঢুকিয়েছেন তারাও বের করেন। উপর দিয়ে পানি ঢেলে কতটুকু লাভ হবে আল্লাহু আলাম। দুআ করুন যেখানেই থাকুক তাবিজ বা জাদু যেন নষ্ট হয়ে যায়।
যারা সেন্টারে বসেন, তারাও এই ব্যাপারটা খেয়াল করবেন। সেলফ রুকইয়াহ করে, আপনিও রুকইয়াহ করে দেন, তারপরেও যতটুকু ইম্প্রুভ হবার কথা হচ্ছে না কেন? রোগীর আমল, আখলাক, আক্বিদাতে সমস্যা নাকি তাবিজের রয়ে গেছে?
৩। আরেকটা বিষয়, ঘর থেকে প্রানীর ছবি, পুতুল, মুর্তি বের করে দিন।
বাচ্চাদের খেলনাও বের করে দিলে ভাল। সেটা না পারলে এমন ঘরে বস্তাবন্দী করে রাখুন যেখানে সচরারচর আপনি রুকইয়াহ করেন না বা ইবাদাত করেন না।
রুকইয়াহ শুরু করে এসব খুজলেও রুকইয়াহ ১-২ মাস করার পরে আবার খুজুন। আল্লাহ চাইলে তখন হয়ত তাবিজ পাবেন যেটা আগেরবার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। শয়তান ভুলিয়ে দিয়েছে।
মোদ্দা কথা, সব দিক থেকে চেষ্টা করতে হবে। শয়তানকে আটকাতে হবে। আপনি যদি আশংকা করেন আপনি বাসায় না থাকলে কেউ লুকিয়ে তাবিজ রেখে যেতে পারে তাহলে বাসায় সিসি ক্যামেরা লাগান। এটা নিরাপত্তায়ও কাজে আসবে।
আর হ্যা, কিছু পেলে এই লিংকের নিয়মে নষ্ট করে দিবেন। – জাদুর জিনিস বা তাবিজ নষ্ট করার নিয়ম
আরও পড়তে পারেনঃ সুস্থ হতে আমার এত দেরি লাগছে কেন? (সম্পূর্ণ লেখা)
এই প্রসঙ্গে অডিও আলোচনা শুনতে পারেনঃ আপনি কেন রুকইয়াহ করছেন? এতে সফলতা বলতে কী বুঝেন?
[সংযুক্তি]
কিছুদিন আগের একটা ঘটনা –
– “ভাই অনেকদিন ধরে রুকইয়াহ করছি, রাকির কাছেও রুকইয়াহ করেছি। এখন এমন এমন হচ্ছে।”
— এমন তো হবার কথা না। তাবিজ আছে কিনা শিউর তো?
– “না ভাই, তাবিজ নাই। আমরা তাবিজ ব্যবহার করি না।”
— ঠিক আছে। তারপরেও খুজে দেখেন সারা বাড়ি। অনেক সময় লুকানো তাবিজ থাকতে পারে।
অতঃপর যা পাওয়া গেল…
মন্তব্য করুন