সেই চিকিৎসাকে আমরা দ্রুত কাজ করা বা না করার ব্যাপারে বলবো যার ক্ষতি চোখে দেখা যায়। আর যেটা চোখে দেখা যায় না কিন্তু বোঝা যায় ইলম দিয়ে তাহলে সেটা কাজ হচ্ছে নাকি হচ্ছে না বুঝতে হবে ইলমের উৎস ঠিক আছে কিনা তা ঘেটে দেখতে হবে। আর এটাও দেখতে হবে যে ইলমের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে কিনা।
রুকইয়াহ শারিয়াহ হওয়ার জন্য প্রধান তিনটি শর্ত হলো;
১। এই বিশ্বাস করা যে শিফার দেওয়ার মালিক শুধু আল্লাহ রুকইয়ার কোন ক্ষমতা নেই যদি আল্লাহ ইচ্ছা না করেন
২। কুরআন ও সুন্নাহ থেকে রুকইয়া করা
৩। অর্থ বোঝা যায় এমন হওয়া (মানে আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাওয়া হচ্ছে এটা বোঝা যদি অন্য ভাষা ব্যবহার করা হয়)
এই তিন শর্ত রুকইয়াতে থাকার পরেও যদি কেইজ লেইট হয় তবে তা আল্লাহর ইচ্ছা ও নিজেদের আল্লাহর সাথে কি কি গ্যাপ আছে তা পুরন করার দিকে খেয়াল করতেই হবে। কারন এটা শুধু চিকিৎসা না এটা দুয়াও তাই। গাফেল মুসলিমের গাফলতে ভরা দুয়া আল্লাহ কবুল করেন না। তাই
এর বাইরে গিয়ে যতো দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করা হোক তা কতটুকু ফল্প্রসু হবে তা জানি না তবে মানুষের মাথায় জটিলতা যে বাসা বাধবে তা বলা যেতেই পারে।
এছাড়া বমি করানো(ইস্তিফরাগ) বা অন্যান্য বিষয় গুলো ফলো করেও সাময়িক সুস্থ হয়ে আবার অসুস্থ হচ্ছে এমন একাধিক কেইজ আমার নিকট মজুদ আছে কিন্তু ভালো হয়েছে এমন কয়েকটি কেইজও শুনেছি। বরং কুরআন ও সুন্নাহ থেকে এবং তিব্বে নববি প্রয়োগ করে সুস্থতার যে রেট আমার নিকট মজুদ আছে তা বমি করানো থেকে অনেক বেশি।
একটা বড় লেখার শেষে ইমাম ইবনুল কাইয়ুম রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে কুরআন দিয়ে সুস্থ হবে না সে কিছু দিয়েই সুস্থ হবেনা।”
এই কথার মানে এই না যে আপনি মধু দিয়ে সুস্থ হবেন না বা অন্য চিকিৎসায় সুস্থ হবেন না। এটার মানে হলো যে কুরআন ছেড়ে অন্য কিছুকে অধিক গুরুত্বের সাথে নিবে তাঁর জন্য এই কথা।
বিঃদ্রঃ কেঊ দ্রুত বা অল্প সময়ে সুস্থ হয়ে গেলে সেটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমাকে আবার সেটার বিরোধী ভাববেন না কেঊ।
আল্লাহ আমাকে সহ সকল রাকি ভাই ও জীন জাদু বদনজর এবং অসুস্থ মানুষদের সঠিক বুঝ দান করুন আমীন।
আরও পড়ুন – সুস্থতার প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ, অনেক ফিতনার দরজা – রুকইয়ার সমস্যা সমগ্র ৭
Facebook Comments
Default Comments (0)