১। স্টমাক ডিটক্সিফিকেশনের নাম করে কেউ কেউ কয়েক লিটার পানিতে আধা কেজি বা তারও বেশি লবণ মিশিয়ে সেটাতে রুকইয়ার আয়াতগুলো পড়ে খান। এই লবণ পানি খাওয়ার মূল উদ্দেশ্য থাকে বমি করানো। বমি করে পেটে থাকা যাদুর জিনিস বের করে ফেলা। চিন্তা করতে সহজ লাগে। যদিও প্রসেসটা ডিস্টার্বিং।
অনেকে এই পানিতে আরো কি কি মিশিয়ে তারপর খান। রিসেন্টলি কয়েকজন আমার কাছে জানতে চেয়েছেন এভাবে উনারা করবেন কিনা।
এটা নাজায়েজ কোন পদ্ধতি না। যে যাই বলুক, রুকইয়া জায়েজ হওয়ার সাধারণ মূলনীতির মাঝে পড়ে কিনা দেখবেন। ব্যস। তাই এক কথায় উত্তর হল, আপনার ইচ্ছা হলে লবণ পানি খান, খেয়ে বমি করেন। মনে না মানলে করবেন না। লবণ বেশি খাওয়ার ফলে যেসব সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে সেগুলো নিয়ে আগে কোন ডাক্তার বা এই বিষয়ে জ্ঞান আছে এমন কারো সাথে কথা বলতে পারেন। ডাক্তার আপনাকে খেতে বলল খান।
আমার জানতে ইচ্ছা করে যে বমি করতেই হবে এই ধারণা আসলে কোথা থেকে আসছে? কেন বমি করেই বের করা লাগবে? রুকইয়ার পানি খেয়ে কি পেটের যাদু নষ্ট হবেনা? না হলে, কেন হবেনা?
কেউ কেউ বমির ছবি দেন ফেসবুকে। এটা মারাত্মক রকমের বাজে অভ্যাস ভাই। সবকিছুর ছবি আর বর্ণনা ফেসবুকে দিতে হয়না। মার্কেটিং অনেকভাবে করা যায়। মার্কেটিং না বুঝলে এটা বুঝে এমন মানুষদের কাছে কোর্স করেন, তাদের থেকে শিখেন।
২। একজন জানালেন তাকে নাকি বলা হয়েছে একসাথে ৭০ টা পয়েন্টে হিজামা করাতে হবে৷ তাহলেই রোগী ভালো হয়ে যাবে। এটা একটা সমস্যা। ফিটনেস দেখা উচিত হিজামার আগে। সবার শারীরিক ফিটনেস থাকেনা। বিশেষ করে প্যারানরমাল রোগীরা বেশিরভাগই দূর্বল থাকে ফিজিক্যালি। এক ভাই জানালেন ইলেক্ট্রিক শক দিলে রোগী ভালো হয়ে যাবে এমন চিন্তাও রাখেন অনেকে৷ ইলেক্ট্রিক শকে দূর্বল চিত্তের কেউ যদি মেন্টালি শকড হয়ে হার্ট অ্যাটাক করে বা কোন মেডিক্যাল কন্ডিশন তৈরি হয় সেক্ষেত্রে তো বিপদে পড়ে যাবেন ভাইয়েরা।
৩। অনেক পেশেন্টের আত্মীয় তার নিজের ভাই/বোনকে চড় থাপ্পড় বা ফিজিক্যালি আঘাত করার পারমিশন রাকী ভাইদেরকে দেন। এটাও ডিস্টার্বিং লাগে। আপনার বোনকে/স্ত্রীকে আরেকজন থাপ্পড় দিবে আপনারই সামনে। এটা আপনারা কিভাবে পারমিট করেন?
আরও পড়ুন: জাদুর সমস্যায় বমি প্রসঙ্গ
মন্তব্য করুন