রুকইয়াহ করার সময় অনেকের বেশ ধকল যায়। কেউ এতটা ক্লান্ত হয়ে যান, ফিরে হেটে বাড়ী যাওয়ার মত অবস্থা থাকে না। নিজে রুকইয়াহ করলে দেখা যায়, রুকইয়াহ করে এমন ক্লান্ত হয়ে গেছেন, যে পরিবারের জন্য রান্না করতে পারছে না। এরকম সবসময়ই যে হয় তা না, বরং কখনও কখনও এমন হয়ে থাকে। তাই রুকইয়া করার পর কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
১. রুকইয়ার পর ওযু করা বা হাত-মুখ ধুয়ে নেয়া। এতে অনেক হালকা বোধ হয়।
২. প্রস্রাব-পায়খানা করা। অনেকের ভেতরের এভিল থিংগস রুকইয়ার পর টয়লেটে গেলে বের হয়ে যায়।
৩. সময় দেয়া। আপনি যদি রাকী হন, তবে রুকইয়াহ করার পর রুগীকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে দিন। অবস্থা বিবেচনায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিট হতে পারে।
৪. রুকইয়ার গোসল করা। এটা খুব উপকারী। বিশেষত: অনেকের রুকইয়াহ করতে গিয়ে মাথাব্যথা, পুরো শরীর ব্যথা, কেউ কেউ অনেকটা অসুস্থ হয়ে যান। এক্ষেত্রে রুকইয়াহ শেষে (পানিতে হাত রেখে ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, ৩কুল সব ৭বার করে পড়ে অথবা পড়ার পানিতে ফুঁ দিয়ে) গোসল করে নেয়া উচিত। তাহলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। জিনের রুগীর ক্ষেত্রে যদি কখনও কয়েকদিন রুকইয়াহ করা লাগে, তাহলে প্রতিদিনের রুকইয়াহ শেষে রুকইয়ার গোসল করানো উচিত।
৫. আরেকটা কাজ করা যেতে পারে, তাৎক্ষনিক সুস্থতার নিয়াতে সুরা ফাতিহা এবং আয়াতে শিফা তিনবার করে পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে খেয়ে নিন। ইনশাআল্লাহ আরাম পাবেন। (আয়াতুশ শিফা- সূরা তাওবাহ ১৪, ইউনুস ৫৭, নাহল ৬৯, বনি ইসরাইল ৮২, শু’আরা ৮০, হা-মিম সাজদা ৪৪নং আয়াত।)
আয়াতে শিফা (৯/১৪, ১০/৫৭, ১৬/৬৯, ১৭/৮২, ২৬/৮০, ৪১/৪৪)
এগুলোর মানে বুঝিয়ে বলবেন।