Ruqyah Support BD

বাচ্চাদের ওপর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অথবা পশু-পাখির ওপর বদনজর লাগলে করণীয়

প্রথম বিষয় হলো, বদনজর প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিয়ে একটা সিরিজ আছে, সেলফ রুকইয়াহ গাইড আছে, সেখানে আপনি এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো, বাচ্চাদের ওপর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথা কর্মস্থলের ওপর এবং গৃহপালিত পশু-পাখির উপর বদনজর লাগলে তা কাটানোর নিয়ম। এই ক্যাটাগরির সবগুলো লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

[১ম পদ্ধতি]

যদি আপনি জানেন যে, অমুক আপনার বাচ্চাকে/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে/পালিত পশু-পাখির উপর বদনজর দিয়েছে (ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত) তাহলে তাঁর কাছ থেকে অযুর পানি নিন। এরপর বাচ্চার/পশু-পাখির গায়ে ঢেলে দিন বা কর্মক্ষেত্রে ছিটিয়ে দিন। সাথে সাথে ইংশা আল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। একইভাবে যেকোনো জিনিসের উপর কারও নজর লাগলে চিকিৎসা করতে পারবেন। আপনি নিজের নজর লাগলেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করবেন। (বাবা-মার বদনজর সন্তানের লাগে না এটা ভুল কথা।)

[২য় পদ্ধতি]

যদি বুঝতে না পারেন কে বদনজর দিয়েছে অথবা অনেকে বদনজর দিয়েছে মনে করেন অথবা অযুর পানি নেয়া সম্ভব না হয় তাহলে আক্রান্ত বাচ্চা, ব্যক্তি, পশু-পাখির মাথায় হাত রেখে নিচের সূরা ও দুয়াগুলো পড়বেন এবং মাঝে মাঝে ফুঁ দিবেন গায়ে। নিজের সমস্যার জন্য পড়তে চাইলে মাথায় বা বুকে হাত রেখে পড়বেন। অথবা পড়া শেষ করে ফুঁ দিবেন। এই সূরা ও দুয়াগুলো পড়ে পয়ানিতে ফুঁ দিয়ে সেই পানি ঘরে, অফিসে, দোকানে, গাছে, খামারে ইত্যাদিতে ছিটিয়ে দিলেও ইংশা আল্লাহ বদনজর কেটে যাবে। পরপর কয়েকদিন করা যেতে পারে।

১.

أُعِيْذُكُمْ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

উ”ঈযুকুম বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মাহ। মিং কুল্লি শাইত্বা-নিও- ওয়াহা-ম্মাহ। ওয়ামিং কুল্লি “আঈনিল্লা-ম্মাহ।

২.

بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللَّهُ يَشْفِيكَ، بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ

বিসমিল্লা-হি আরকীক। মিং কুল্লি শাইয়িই ইউ’যীক। মিং শাররি কুল্লি নাফসিন আও “আইনি হাসিদ। আল্লা-হু ইয়াশফীক। বিসমিল্লা-হি আরকীক।

৩.

بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ

বিসমিল্লা-হি ইউবরীক। ওয়ামিং কুল্লি দা-ঈই ইয়াশফীক। ওয়ামিং শাররি হাসিদিন ইযা- হাসাদ। ওয়া শাররি কুল্লি যী “আঈন ।

৪.

اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
আল্লা-হুম্মা রাব্বান না-স। আযহিবিল বা’স । ইশফি ওয়াআংতাশ শা-ফী। লা-শিফাআ ইল্লা-শিফাউক। শিফাআল লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা-।

এরপর সুরা ফাতিহা এবং আয়াতুল কুরসি ১বার। এবং সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস ৩ বার পড়বেন এরপর রুগীকে/নিজেকে ফুঁ দিবেন। চাইলে সুরা ফালাক নাস অনেকবার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন, সবধরনের রুকইয়াহ তে এগুলো বিশেষভাবে উপকারী।

সমস্যা বেশি হলে উল্লেখিত পদ্ধতিতে রুকইয়াহ করা শেষে, আরেকবার এগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন খেতে হবে এবং গোসল করতে হবে। সমস্যা ভালো না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন করবেন এই দুটো কাজ। এছাড়া কোন অঙ্গে ব্যাথা থাকলে এসব দোয়া-কালাম পড়ে তেলে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন মালিশ করতে পারেন।

(শুধুমাত্র বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই না, আপনি অন্য কোনো ব্যক্তির উপর বদনজরের রুকইয়াহ করতে চাইলেও এই পদ্ধতি ফলো করবেন।)

 

উল্লেখিত সবগুলো দোয়া রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদিস থেকে নেয়া।

প্রাপ্তবয়স্ক কেউ নিজেই নিজের বদনজরের চিকিৎসা করতে চাইলে এই পোস্ট (আমরা সেলফ রুকইয়াহ বলি) অনুসরণ করবেনঃ সেলফ রুকইয়াহ গাইড (বদনজর)

মন্তব্য করুন