কোনো পাখি, মাছ অথবা প্রাণীর সাথে তাবিজ বাঁধা দেখলে কী করবেন?
কবিরাজদের (কবিরাজ বলতে এখানে ভেষজ চিকিৎসক বলা হয় নি বরং কুফুরি করে এমন কবিরাজ, তান্ত্রিক, বৈদ্য, হুজুর উদ্দেশ্য) একটি টেকনিক হল তারা যাদুর জিনিসপত্র তাবিজে ঢুকিয়ে জীবন্ত মাছ কেটে তার ভিতরে ঢুকিয়ে সেলাই করে সেই মাছ নদী বা পুকুরে ছেড়ে দেয়। কেউ আবার কাক, কবুতর বা অন্য পাখির গলায় বা পাখায় ঝুলিয়ে দেয়। অন্য পশুর গায়েও দিতে পারে। ঝুলিয়ে দিতে পারে গাছে।
আরও পড়তে পারেনঃ জাদু টোনা থেকে বাঁচতে করণীয়।
আল্লাহর হুকুম থাকলে এতে আক্রান্ত প্রানীর কষ্ট হয়, আবার যার জন্য করা হয়েছে কুফুরি তারও কষ্ট হয়। আপনারা হয়ত দেখেছেন পুকুর মাছ ধরতে যেয়ে এমন মাছ পাওয়া গিয়েছে যার গায়ে তাবিজ লাগানো। হয়ত আপনার ঝাকের কবুতরের সাথে একটা কবুতর এসেছে যার গায়ে এমন তাবিজ লাগানো আছে।
স্বভাবতই মানুষ এসব দেখে ভয় পায় এবং হাত লাগাতে চায় না। গত জুনের ২০ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকেও এমন সংবাদ এসেছে একটি পুকুরে এমন মাছ পাওয়া যাবার পর এলাকাবাসী ভয়ে এক কবিরাজকে খবর দেয়ার পর কবিরাজ সেই মাছটিকে অন্য আরেকটি পুকুরে ছেড়ে দিতে বলেছে। যাদুকরতো যাদুকরের মতই কথা বলবে তাই না? হয়ত এই কুফুরিটা তারই করা ছিল। অথবা এই কুফুরি নষ্ট করা তার সাধ্যের অতীত ছিল অথবা সেটা এটা নষ্ট করতে চায় নি।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখানে ভয়ের কিছু নেই। আপনার সামনে যদি এমন কিছু চলে আসে, বাজারের মাছের সাথে এমন মাছ চলে আসলো যার ভিতরে/গায়ে তাবিজ পাওয়া গেল। অথবা যদি পালের পাখির সাথে তাবিজওয়ালা পাখি চলে আসে বা রাস্তা ঘাটে এমন পশু চোখে পড়ে তাহলে সাহস করে সেটা খুলে নিবেন। খুলে নিয়ে নষ্ট করে দিবেন নিচের লিংকের নিয়মে।
– জাদুর জিনিস বা তাবিজ নষ্ট করার নিয়ম
ইন শা আল্লাহ কোনো বান্দার মাথা থেকে বিরাট বোঝা নেমে যাবে, সে অসুস্থ থাকলে সুস্থ হয়ে উঠবে। আর কেয়ামতের ময়দানে ইন শা আল্লাহ আপনার এই আমলটাই আল্লাহর কাছে পছন্দ হয়ে যাবে এবং আপনি সফলকাম হবেন।
গ্রুপের মেম্বারদের মধ্যে যত সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মী আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ তারা এমন সংবাদ পেলে অবশ্যই কবিরাজদের পাত্তা না দিয়ে নষ্ট করে ফেলতে বলবেন এবং সে ব্যাপারে প্রভাবিত করবেন। আপনাদের সাধারন মানুষ আইকন মনে করে। আপনারা কোনো কথা বললে ফেলবে না। আমাদের গ্রুপের কথা বলার দরকার নেই, আমার কথা বলার আরও দরকার নেই। শুধু প্রসেসটা বলে দিবেন। হয়ত এই কাজটা আপনার হেদায়াত প্রাপ্তির কারণ হবে। আপনার জীবন, সংসার, সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে বরকত হবে।
আল্লাহ কবুল করুণ, আমীন।
মন্তব্য করুন