Ruqyah Support BD

বাচ্চাদের কথা শিখতে দেরি হলে করণীয়

[ক]
বিসমিল্লাহ! অনেক বাচ্চাদের দেখা যায়, অন্য বাচ্চাদের তুলনায় কথা বলার বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু অল্প দুই-একটা শব্দ বাদে কিছুই বলছে না। কিংবা শুরুতে একটু একটু বলা শিখছিল, পরে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে। এরকম সমস্যা নিয়ে গ্রুপে অনেক পোস্ট আসে। ইদানীং যদিও একটু কম, আগে অনেক বেশি আসতো। তো সেদিন এক আরবি চ্যানেলে এব্যাপারে কিছু পরামর্শ পেলাম। সবার সুবিধার্থে নিজ ভাষায় অনুবাদ করে দিচ্ছি। আর হ্যাঁ! অবশ্যই এখানে প্রয়োজনীয় কম-বেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ছোট-বড় সবার তোতলামির সমস্যাতে এবং জিন বা জাদুর কারণে কথা বন্ধ হয়ে গেলে তখনও এই রুকইয়াটা বেশ উপকারী।

অটিস্টিক বাচ্চাদের দ্রুত মানসিক-শারীরিক উন্নতির জন্যও এই রুকইয়াটা করতে পারেন।

[খ]
প্রথমতঃ বদনজরের রুকইয়াহ করুন। বাচ্চাদের অনেক সমস্যার পেছনেই বদনজরের কারণ থাকে। তাই বাচ্চাদের রুকইয়ার নিয়ম অনুসরণ করে প্রতিদিন ২-৩ বার রুকইয়া করুন। এভাবে অন্তত সপ্তাহখানেক রুকইয়াহ চালু রাখুন। যদি সমস্যা একদম ভাল হয়ে যায়, তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ। নইলে নিচে বলা দ্বিতীয় নিয়ম অনুসরণ করুন। আগে বাচ্চার জন্য বদনজরের রুকইয়াহ করে থাকলে এবার ২-১দিন করার পরেই দ্বিতীয় আমলটা শুরু করে দিতে পারেন।
সংক্ষেপে বাচ্চাদের রুকইয়া করার নিয়ম পাবেন এই লিংকে: বাচ্চাদের সমস্যার জন্য প্রাথমিক রুকইয়াহ

[গ]
দ্বিতীয়তঃ একটা পাত্রে পর্যাপ্ত পানি নিয়ে নিচের আয়াত এবং সূরাগুলো পড়ুন-
১. সূরা ফাতিহা – ১ বার
২. সূরা ইখলাস – ৩ বার
৩. আয়াতুল কুরসি – ৭ বার
৪. সূরা নুর; ৩৫ নং আয়াত – ৭ বার

৫. সূরা সদ; ৪২নং আয়াত – ৭ বার

৬. সূরা ত্বহা; ২৫-২৮ আয়াতে উল্লেখিত মূসা আলাইহিস সালামের দোয়া – ‘৭০ বার’

৭. সূরা আর-রহমানের ১-৪ আয়াত – ‘৭০ বার’

.– এসব পড়ুন আর মাঝেমাঝে পানিতে ফুঁ দিন। জমজমের পানি হলে সবচেয়ে ভাল, নইলে বৃষ্টির পানি, নইলে স্বাভাবিক পানযোগ্য পানি হলেও চলবে।

* এই পানি প্রতিদিন দুই-তিন বেলা পান করাবেন।
** উল্লেখিত আয়াতগুলো কয়েকবার করে পড়ে প্রতিদিন অন্তত ১০মিনিট রুকইয়াহ করবেন।


এভাবে লাগাতার অন্তত ৪০দিন রুকইয়াহ করুন। আর অবশ্যই স্মার্টফোন, টিভি, কার্টুন কিংবা মুভির মত মেধা বিকাশে প্রতিবন্ধক বিষয়াদি থেকে শিশু সন্তানকে দূরে রাখবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য ট্রেইনিং চালু রাখবেন।
এসবের পাশাপাশি কথা শিখাতে চেষ্টা করুন, আর প্রতিদিন দোয়া করতে থাকুন। সুস্থতার নিয়তে মাঝেমাঝে সাদকাহ করুন। আল্লাহ চায়তো যথেষ্ট উপকার পাবেন। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিয়ে রুকইয়ার মেয়াদ আরও বাড়িয়ে নিন।

আপনার অভিজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না..।

bacchader kotha shikhte deri বাচ্চাদের কথা শিখতে দেরি হলে করণীয়

মন্তব্য করুন