আজ চৈত্র মাস শেষ হবে, কাল বৈশাখের ১ম দিন। গতবছর এই সময়টায় অনেক মানুষ জাদু আক্রান্ত হয়েছে। অনেকের পূর্বের জাদুর সমস্যা এরপর আবার বৃদ্ধি পেয়েছে।
পহেলা বৈশাখ পার হওয়ার সাথে সাথে পরিচিত এবং অপরিচিতদের থেকে একেরপর এক দুঃসংবাদ পাচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে এমন হচ্ছিল, যে রোগীকেই জিজ্ঞেস করতাম “সমস্যা কবে থেকে শুরু হয়েছে? গত পহেলা বৈশাখ/কয়েকদিন আগে থেকে? বেশিরভাগই উত্তর দিত- “হ্যা!”
পরে জানলাম, এই সময়ে তান্ত্রিকরা দলগতভাবে অনেক রিচ্যুয়াল পালন করে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এই সময়ে আমাদের মাঝে সুস্থ-অসুস্থ সবারই সতর্ক থাকা উচিত। মুসলিমদের ওপর একেরপর এক বিপদাপদ আসতেই আছে, তাই আমাদের আল্লাহ মুখি হওয়ার বিকল্প নাই।
সংক্ষেপে করণীয়:
১. প্রতিদিনের হিফাজতের জিকির করা।
অন্তত বেসিক যিকিরগুলো অবশ্যই করা, যেমন- সকাল-সন্ধ্যার প্রাথমিক আমল, ঘুমের সময়, খাবার, বাড়িতে ঢোকার-বের হওয়ার, টয়লেটে যাওয়ার আমল ইত্যাদি। (লিংক [১] মাসনুন আমল: যাদু, জ্বিন এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাচার উপায় : যাদুগ্রস্ত ১২)
২. কেউ যদি এমন এলাকায় থাকেন, যেখানে চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠান বা সংশ্লিষ্ট পুজা (চড়কপুজা, শিবপুজা, নীলপুজা) অনুষ্ঠিত হয়- তাহলে পুজার স্থান এড়িয়ে চলবেন। একান্ত ওই রাস্তা ব্যবহার করতেই হলে মনে মনে “আউযুবিল্লাহি…” পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাইতে চাইতে অতিক্রম করা উচিত।
আগের পুজার সময়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম সেটা দেখতে পারেন। (লিংক [২] পূজার সময় আমাদের জন্য সতর্কতা)
৩. পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। এসব মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ।
৪. কারও নিজ আত্মীয়স্বজনেদের মাঝে কবিরাজ-খোনারের কাছে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে তারা বেশি সাবধান থাকবেন। মাসনুন আমল এপ দেখে বেশি করে যিকর করবেন।
জাদু এবং জিন থেকে বাচতে পরামর্শ নিয়ে দুইটা লেখা আছে, সেগুলো খেয়াল রাখতে পারেন। (লিংক [৩+৪] জাদু টোনা থেকে বাঁচতে করণীয় | জিন শয়তান থেকে আত্মরক্ষায় সহায়ক কিছু উপায়)
৫. কেউ আক্রান্ত হলে দেরি না করে অবিলম্বে রুকইয়াহ শুরু করে দিন। প্রাথমিক রুকইয়ার নিয়ম কমেন্টের লিংকে [৫] থাকবে।
মন্তব্য করুন