লিখেছেন: Farhad Hussain
অনেক জ্বিন ঘাড় তেড়ামি করে। অনেক রুকইয়াহ করেও আশানুরূপ ফল পেতে কষ্ট হয়। এই মুহূর্তটা রাকি ও পেশেন্ট উভয়ের জন্য পরীক্ষা ও সবরের। আর পরীক্ষায় পাশ করতে হলে যেমন সবর + সঠিক গাইড লাইন ফলো করতে হয় ঠিক তেমনি রুকইয়াহতেও।
তো দেখা যায়, জ্বিনটাকে হত্যা করার জন্য পেশেন্ট পক্ষ থেকে রাকিকে তাগাদা বা মানসিক চাপ দিয়ে বলা হয়,”হত্যা করে ফেলেন না”। আবেগ তাড়িত কন্ঠও থাকে।
এই ক্ষেত্রে একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি-—-
একবার দুইজন রাকি ভাইয়ের সাথে মিলে একটা কেইজ হ্যান্ডেল করি। আমি রুকইয়াহ নিয়ে একটি ইংরেজি বইয়ে পড়েছিলাম কিভাবে জ্বিন কে হত্যা করা যায় তিলাওয়াত ও হাত দিয়ে, এই বিষয়ে। তো দেখলাম ভাইয়েরা সেটা এপ্লাই করেছেন (আমি যদিও তখন পর্যন্ত এপ্লাই করিনি, কারণ বিষয়টি অস্পষ্ট ও ধোঁকায় ফেলে দেয়ার মতো লেগেছিল আমার কাছে পড়ার সময়)। কিন্তু ভাইদের এপ্লাইয়ের সময় দেখলাম জ্বিন ভালোই কষ্ট পাচ্ছে। যাই হোক সব আল্লাহর ইচ্ছা।
আমি এই জ্বিন জবাই করার টেকনিকটি ৩/৪ জনের উপর পরবর্তীতে এপ্লাই করি + আবার কুরআন টেস্টও(রুকইয়াহ) করেছি। এর মধ্যে ২টি পেশেন্ট কে যথারীতি তার বাবা ও হাসবেন্ডকে দিয়ে করিয়েছি(পেশেন্ট নারী) + বাকি ১/২ জনকে আমি নিজেই করেছি (তারা পুরুষ)।
আমার এপ্লাই + কুরআন টেস্টে(রুকইয়াহ) করে বুঝতে পেরেছি এতে জ্বিনরা সাময়িকভাবে কিছু কষ্ট পায়। আর চালাক প্রকৃতির জ্বিন খুব বেশি অভিনয় করে এবং কষ্ট ও পায়। কিন্তু হত্যা আসলে হয়নি(আল্লাহর ইচ্ছা)।
এর পর থেকে এটা আমি এপ্লাই করা ছেড়ে দেই। কারণ বিষয়টি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আর রুকইয়াহ অন্য পথে ধাবিত হয়। আর জ্বিন রাকিকে ধাঁধায় ফেলে দেয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।
আমি চট্টগ্রামের এক ভাই কে ৬-৭ মাস আগে এই টেকনিকের কথা বলেছিলাম তার আত্মীয়র ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে দেখার জন্য(যেহেতু সে হত্যা করতে চাচ্ছিল)। পরে সে মিথ্যুক প্রমাণিত হওয়ায় কথা ও সম্পর্ক নষ্ট হয় এবং আমার ঐ এপ্লাইয়ের পরবর্তী মতামত দিতে পারি নি। যদি সে ফেইক আইডি নিয়ে আমাকে ফলো করে থাকে তাহলে সে যেন সেটা থেকে ফিরে আসে এই আহ্বান করছি(যদিও সে এপ্লাই করে নি এরপরও বললাম)।
শিক্ষা
উপরের প্রেক্ষাপট ও ঘটনাগুলো একারণেই বললাম, যে বিষয়টি আমার উপলব্ধি হয়েছে এবং অনেকে জানতে চেয়েছিলেন তা হলো কিভাবে জ্বিন হত্যা করা যায়!
আসলে আপনারা(পেশেন্ট ও রাকি) যদি অনেক ধৈর্য্যের পর জ্বিন হত্যা করতেই চান তবে হত্যার নিয়তে সুরা বাকারা , আনফাল ও তাওবাহ এবং ফাতহা ও ইয়াসিন পড়ুন। ইন-শা-আল্লাহ্ একদিন না একদিন জ্বিন মরবেই। রুকইয়াহর পাশাপাশি জ্বিনকে কষ্ট দেয়ার জন্য সুন্নাহ সাপ্লিমেন্টারি প্রয়োগ করুন(হিজামা, ইন্ডিয়ান কস্টাস, অলিভ ওয়েল, কালোজিরার তেল ইত্যাদি)। ইন-শা-আল্লাহ্ সফল হবেন।
[সবাই আল্লাহর ওয়াস্তে শুরুতেই হত্যার নিয়ত করবেন না, চলে যেতে বলুন। না গেলে এবং কষ্ট বেশি দিলে তখন এই প্রেসক্রিপশন প্রয়োগ করুন ইন-শা-আল্লাহ্]
মন্তব্য করুন