Ruqyah Support BD

রাকিদের সতর্কতা কাম্য

একজন রাকি যখন রুকইয়াহ করে তখন নিজের সেফটির বিষয়টার পাশাপাশি নিজের প্রিয়জনদের সেফটির বিষয়টাও লক্ষ রাখতে হয়। এর একটা উল্লেখযোগ্য দিক হল নিজের কোনো তথ্য কোনো রোগীকে না দেয়া। এই পোস্টের উদ্দেশ্য সতর্ক হওয়া, ভুল না করা।

আমরা কথায় কথায় জিজ্ঞেস করি না, ভাই আপনার বাড়ি/দেশ কোথায়?
এক ভাই তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন তিনি তার বাড়ি বলার পর পরই বাড়িতে বিরাট গ্যাঞ্জাম শুরু হয়ে গিয়েছিল। এটা অনেক দূরের বিষয় হলেও অসম্ভব না।

কাজেই আমরা যারা এখানে কাজ করি, আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত।

ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। এসব নিয়ে কথা বলে কোনো ফায়দা নেই। রাক্বি কী করে, বাড়ি কোথায় এসব জেনে রোগী কী করবে? রাক্বির সাথে খাতির করার কী দরকার? রাক্বিদের স্ত্রীদের সাথে আক্রান্তদের যোগাযোগ না থাকা উচিত।

আরও কিছু পর্যবেক্ষণঃ

১। রাকিদের কেউ কেউ নিজ নাম ব্যবহার করেন না, উপনাম ব্যবহার করেন। এটাও খারাপ না, ভাল।

২। অসুস্থ মেয়ে রোগীদের কাছে নিজের ঘরের কোনো মেয়ের (আগের থেকে পরিচিত না হলে) পারসোনালি এক্সেস না দেয়াই সতর্কতা। ফোন নাম্বার, ফেসবুক আইডি ইত্যাদি।

৩। নিজ বাসায় রুকইয়াহ করার দ্বারা নিজের পরিবারের লোকজনের বিপদ ডেকে আনার সম্ভবনা তৈরি হয়। কাজেই যারা এমন করছেন তারা সতর্ক হওয়া দরকার।

৪। যাদের ভিজিটিং কার্ড আছে তাদের কার্ডে নিজের নাম্বার আর বসার স্থানের ঠিকানা ছাড়া অন্য ঠিকানা/নাম্বার না দেয়াই সতর্কতা।

৫। মাঝে মাঝে মনেহয় কন্সাল্ট করার সময় বা রুকইয়াহ করার সময় রাক্বির মাস্ক পড়ে থাকা উচিত। নিজের মনোভাব চেহারায় ফুটে উঠা যেন আক্রান্তরা বুঝতে না পারে।

আল্লাহ না করুন, ধরা যাক আপনার একটা বাবু আছে। সারাদিন কন্সাল্ট করার পর, রুকইয়াহ করার পর, বাসায় ফিরে দেখেন বাবু কান্না করে। কোনো কারণ নেই তাও কান্না করে। সারারাত নিয়ে বসে রইলেন। সকালে মনে হল রুকইয়াহ করে দেখি। করার সাথে সাথে কান্না বন্ধ। এমন বিড়ম্বনা কার ভাল লাগবে?

সেজন্য সতর্কতা দরকার। নিজেরা বলবো না, কেউ জিজ্ঞেস করলে বিনয়ের সাথে এড়িয়ে যেতে হবে। বিনয় যদি না বুঝে চোখে আঙুল দিয়ে বোঝাতে হবে। কারণ বহু লোক আছে নরম কথা বুঝে না, শক্তভাবে বললে তখন কানে ঢুকে।

(এসব কথা পাবলিকলি বললে লোকজন ভাববে, হায় হায়, আমার জ্বিন/জাদু কত শক্তিশালী! রাক্বিই বিপদে পড়ে গিয়েছে! এটা ভুল হবে বললে। রাক্বিদের একমাত্র শত্রু তাদের আমলের কমজোরী/গুনাহ। নাহয় তারা আল্লাহর হেফাজতের মধ্যেই থাকেন। আর দুনিয়াতে টুকটাক বিপদ তো থাকবেই। কাজেই জিন, জাদুকরকে শক্তিশালী মনে করে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই।)

মন্তব্য করুন