Ruqyah Support BD

ওয়াসওয়াসা রোগের জন্য রুকইয়া

সংক্ষেপে পরামর্শগুলো

১. ওয়াসওয়াসা হলে আউযুবিল্লাহ-জাতীয় কিছু পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া, এবং এবিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকা। এই দোয়াটা পড়া যেতে পারে-

أَعُوذُ بِاللّٰهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِهٖ وَنَفْخِهٖ وَنَفْثِهٖ

এই দোয়াটাও খুব উপকারী, নামাজ এবং ঘুম এর আগে আগে ও পরে পড়া যায়-

أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ، مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهِ، وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ، وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ

২. ঈমান নিয়ে সংশয় উদিত হলে “আমানতু বিল্লাহ বলা” এছাড়া “সুরা ইখলাস পড়ার” কথাও বর্ণিত হয়েছে।

৩. নামাজে ওয়াসওয়াসা হলে বামে হালকা করে ৩বার থুতু ফালানো। মাসায়েলঃ রাকাত ভুলে গেলে- কম সংখ্যাটা ধরে, এরপর প্রতি রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু পড়া, আর শেষে সাহু সাজদা দেয়া।

৪. ওযুর গোসলের মাঝে ওয়াসওয়াসা হলেও এক অঙ্গ ৩বারের বেশি না ধোয়া। আল্লাহর রহমতের ওপর ভরসা রাখা।

৫. ওযু ভাঙার ওয়াসওয়াসার ক্ষেত্রে ১০০% নিশ্চিত না হলে পাত্তা না দেয়া। (আল্লাহর নামে কসম করে বলতে পারবেন, এরকম নিশ্চিত হলে বুঝবেন ওযু ভেঙ্গেছে।)

৬. নাপাক থেকে বেচে থাকা উচিত, বিশেষত প্রসাবের ছিটা থেকে বাচা। যথাসম্ভব সর্বদা ওযু অবস্থায় থাকা। ওযু গোসলের যায়গায় প্রসাব না করা।

৭. পুরুষ হলে জামাআতের সাথে নামাজ পড়া, মুত্তাকী লোকদের সাথে উঠাবসা করা। বেদ্বীন সার্কেল ত্যাগ করা।

৮. সকাল-সন্ধ্যায় ও ঘুমের আগের মাসনুন আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করা। টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পড়া।

৯. আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকা। যথাসম্ভবত ওয়াসওয়াসা পাত্তা না দেয়া; ইগনোর করা, এমনকি মুখে বিরক্তির ভাবও প্রকাশ না করা। বরং আনন্দিত হওয়া এই কারণে, আপনার ঈমান আছে দেখেই শয়তান আপনার পেছনে লেগেছে, এদিকে আপনি এই সুযোগে আরও বেশি ইবাদাত করতে পারছেন।

১০. ওয়াসওয়াসার দিলেই এর বিপরীতে কিছু এক্সট্রা তাসবিহ / যিকর করা।

 

রুকইয়াহ হিসেবে কি করতে পারে?

১. আয়াতুল হারক (আযাব এবং জাহান্নাম সংক্রান্ত আয়াত) তিলাওয়াত করা এবং তিলাওয়াত শোনা। ( অডিও https://ruqyahbd.org/download। পিডিএফ https://ruqyahbd.org/pdf )

২. রুকইয়ার কমন আয়াত পড়ে পানি আর অলিভ অয়েলে ফুঁ দেয়া। এই পানি পান করা, গোসল করা, তেল গায়ে মাখা।

৩. বদনজর, জাদু বা জিনের সমস্যা থাকলে সেটার জন্য রুকইয়াহ করা।

৪. সমস্যা বেশি হলে ২ সপ্তাহ প্রতিদিন দিন-রাত মিলিয়ে সুরা বাকারা পুরোটা তিলাওয়াত করা।
(কারও পড়া খুবই স্লো হলে ৩দিনে সুরা বাকারা শেষ করা, আর প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে পুরোটা শোনা।)

একদম ইজি সাজেশন চাইলে

১. মাসনুন আমল করা

২. প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ শেষে বুকে হাত রেখে তা’আউয (মানে আউযুবিল্লাহ-জাতীয় কিছু) ৩বার পড়া, এরপর সুরা নাস পড়া।

৩. সমস্যা থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রতিদিন মন থেকে দোয়া করা।

মন্তব্য করুন