“আমি রুকইয়া শুনতে পারিনা, রুকইয়া শুনতে লাগলেই ঘুমিয়ে পড়ি”
অনেকেই এই কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে-
.
১. ঘুমিয়ে পড়াটা রুকইয়া আসলেই কাজ করছে এর ইংগিত।
২. বদনজরের সমস্যা থাকলে সাধারণত রুকইয়ার সময় ঘুম আসে।
৩. শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেলেও উপকার হয়। তবে জেগে থেকে শুনলে যে পরিমাণ হয়, ততটা না। এজন্য জেগে থাকতে বলা হয়।
৪. ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না- এরকম সমস্যা থাকলে সুরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জ্বিন, তিনকুল এর রুকইয়াটা খুব উপকারি।
এরকমভাবে রুকইয়া করতে গিয়ে একটু কিছু ফিল করলেই অনেকে রুকইয়া করা বাদ দিয়ে দেন, আর বলেন যে রুকইয়া করতে গিয়ে প্রবলেম হইছে!
এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। সবসময় খেয়াল রাখবেন, রুকইয়া শুনতে গিয়ে আপনি কিছু ফিল করছেন, সমস্যা বাড়ছে বা কমছে; যাইহোক না কেন! এটা রুকইয়ার ভালো ইফেক্ট!! এতে বুঝা যাচ্ছে রুকইয়া আপনার সমস্যা পর্যন্ত যেতে পেরেছে।
আপনি রুকইয়া চালিয়ে যাবেন, জ্বিনের সমস্যা থাকলে হয়তো সেক্ষেত্রে কারো সহায়তা নিতে পারেন। যেমন: এই গ্রুপে এক বোনের সমস্যা ছিল, উনি উনার হাজব্যান্ডকে দিয়ে রুকইয়া করাচ্ছেন। একান্ত অপারগ হলে কোন রাকির স্মরনাপন্ন হোন।
দুশ্চিন্তা তখনই করা উচিত, যখন দেখা যাচ্ছে আপনার সমস্যা আছে। রুকইয়াও করছেন। কিন্তু কিছুই টের পাচ্ছেন না। না সমস্যা বাড়ছে, না কমছে। কিংবা কয়েকমাস ধরে করছেন, কিন্তু কোনই উপকার হচ্ছে না। এরকম ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন। আপনার রুকইয়ার ভুলটা কোথায় হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করে সমাধান করুন।
শেষকথা হচ্ছে, রুকইয়া করতে গিয়ে কিছু ফিল করলে রুকইয়া বন্ধ না করে চালিয়ে যান, প্রয়োজনে আমাদের জিজ্ঞেস করুন এরপরে কি করা উচিত। ইনশাআল্লাহ আমরা দিকনির্দেশনা দিতে প্রস্তুত আছি।
মন্তব্য করুন