কেউ যাদু আক্রান্ত হলে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দোয়া করা।
আমরা জানি জাদুর জিনিসগুলো যদি পাওয়া যায় আর সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়, তাহলে মানুষ খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তাই তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত যেন আল্লাহ জানিয়ে দেন, যাদুর জিনিশগুলো কোথায় পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে, কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এটা কিন্তু রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ।
আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে যে ঘটনাটি বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যখন যাদু করা হয়েছিল, উনি কয়েকদিন খুব বেশি বেশি দোয়া করেছেন, এরপর একদিন হঠাৎ বললেন “আয়েশা তুমি কি বুঝতে পেরেছ যে ব্যাপারে আমি দোয়া করছিলাম আল্লাহ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন?“
ওই সময়েই রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রুকইয়ার জন্য সুরা ফালাক সুরা নাস নাযিল হয়। রাসুলুল্লাহকে জানিয়ে দেয়া হয়, আপনাকে এভাবে যাদু করা হয়েছে, অমুক যায়গায় আছে যাদুর জিনিস। ইত্যাদি… (বুখারি ৫৪৩০, মুসলিম, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ, মুসনাদে আহমাদ)
তো এখানে মুল যে বিষয়ে আমি ফোকাস করতে চাচ্ছি, তা হচ্ছে দোয়া করা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই রুকইয়াহ অসম্পূর্ণ যেখানে দোয়া নেই। তাই আমাদের অবশ্যই দোয়া করা উচিত।
১. বেলাল রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের সম্পদ হিফাজত কর যাকাত প্রদানের মাধ্যমে, তোমাদের রোগের চিকিৎসা কর সাদকার মাধ্যমে, আর তোমাদের বিপদ দূর কর দু’আর মাধ্যমে। (মুজামুল আওসাত ২০০৬, বায়হাক্বি ৩২৭৪)
২. জাবির রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি নবী ﷺ কে বলতে শুনেছি, রাতে এমন একটি সময় রয়েছে যে, কোন মুসলমান ব্যাক্তি আল্লাহর কাছে দুনিয়া-আখিরাতের কোন কল্যাণের প্রার্থনা করা অবস্থায় যদি সময়টি পেয়ে যায়, তবে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। আর এই সময় আছে প্রতিটি রাতেই। (মুসলিম ৭৫৭)
৩. আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের বরকতময় ও মহান প্রতিপালক প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকার সময় পৃথিবীর আসমানে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন, কে আছে আমাকে ডাকবে, তাহলে আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছে আমার কাছে চাইবে, তবে আমি তাকে দিয়ে দিব। কে আছে আমার কাছে ইস্তিগফার করবে, তবে আমি তাকে মাফ করে দেব। (বুখারি ৫৯৬২, তিরমিযি)
মন্তব্য করুন