Ruqyah Support BD

অভিভাবককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা

এদেশের অভিভাবকদের জাহালত সম্পর্কে ধারণা থাকার পরেও অভিভাবকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজের দুর্গকে সুরক্ষিত করতে চাওয়া জুলুম হবে কিনা সেই প্রশ্ন রইল নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়ারিশদের কাছে। আমি জাহেল মানুষ অত শত জানি না।
গত একটা স্ক্রিনশটে দেখিয়েছি কিভাবে একটা মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। সে স্বীকারও করেছে এই ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এখন এই মেয়েকে যদি ধরা হয়, আপনি মাদ্রাসায় পড়েও এমন কিভাবে হল, কেন আপনি পুরুষ লোক ছাড়া তার কাছে গেলেন, আপনার মা-ই বা কেমন মা। কবিরাজের কাছে আপনাকে একা রেখে চলে গেল!
তাহলে কেমন হবে?
একেকটা ঘটনায় একেক জনের রেসপন্স একেক রকম হবে। কারও কাছে এসব ঘটনা কেবল লজ্জাস্কর হবে, কেউ ট্রমায় চলে যাবে, আবার কেউ এনজয়ও করতে পারে।
কত শত ছেলে-মেয়ের মুখে শুনি, নিজের চোখেও দেখলাম, তারা যখন দ্বীন মানার চেষ্টা করতে থাকে তখন সবার আগে বাধা দেয় পরিবারের লোক। এই ইস্যুগুলো এতই কমন যে আলোচনা করাও লাগে না। বললেই হয়। আর অভিভাবক যদি অধীনস্থদের নিয়ে বিপদগ্রস্থ হয় তাহলে তার প্রথম চিন্তা থাকবে কিভাবে এই বিপদ থেকে বের হওয়া যায়। বের হতে গিয়ে কতটুকু বিবেচনাবোধ রাখতে পারবে, সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবে এটাও ভাবা দরকার। আজকে নামী-দামী রাকিদের অনেকেই একসময় রোগী নিয়ে কবিরাজদের কাছে দৌড়েছে, লাখ লাখ টাকা খরচ করেছে, মাথার ঘাম ছুটিয়েছে। এমন না তারা শরীয়তের হুকুম জানতো না। জানতো, কিন্তু বিপদ তাদের দিশেহারা করেছে। এখন এসব বিষয় নিয়ে লজ্জা দেয়া, অযৌক্তিক প্রশ্ন করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত চিন্তাশীলদের কাছে প্রশ্ন রইল।
অন্যায়কে অন্যায় মনে না করার শাস্তি হল, তওবা করার সৌভাগ্য হয় না। যে অন্যায়কে অন্যায় জেনে করে (বা না জেনে করে) সে যেকোনো সময় তওবা করতে পারে। কিন্তু যারা অন্যায়কে ন্যায় মনে করে সে তওবা করবে না। কারণ তার কাছেতো এটা অন্যায় না।
অভিভাবকরা নাহয় একসময় বুঝবে না, এটা সঠিক না। এটা ভুল। তওবা করে নিবে। কিন্তু যারা অভিভাবকদের গোড়া উদ্ধার করছে তাদের কি হবে?

মন্তব্য করুন