Ruqyah Support BD

অমুসলিমরা কি রুকইয়াহ করতে পারে?

সুরা বানি ইসরাইলের এক আয়াতে বলা আছে- “আমি কোরআনে এমন কিছু নাযিল করি যা শিফা এবং মুমিনদের জন্য রহমত” এটা দেখে অনেকে ভাবেন যে রুকইয়া বোধহয় শুধু মুমিনদের জন্যই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কোরআন মুমিনদের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ তো এটা যেমন সত্য, আর বিশ্ববাসীর জন্যও আল্লাহর রহমত এটাও ঠিক তেমনই সত্য।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, সাহাবায়ে কিরাম অমুসলিমদের ওপর কোরআন এর আয়াত দিয়ে রুকইয়া করেছেন, তারা আরোগ্য পেয়েছে। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যখন এটা উনারা বলেছেন তখন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেননি। বরং কোরআন দিয়ে রুকইয়া করার কথা শুনে খুশি হয়েছেন। (হাদিসটি বুখারি শরিফের)

আর আপনারাও হয়তো দেখেছেন, ইমাম সাহেবদের কাছে অমুসলিম কেউ পানি পড়া নিতে এসেছে, হুজুর দোয়া-কালাম পড়ে পানিতে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের পরিচিত এক ভাই এমন অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন, এক হিন্দু ছেলের জিনের সমস্যা ছিল। বহুত চেষ্টা করেও ছাড়ানো যায়নি, পরিবার প্রায় হতাশ হয়ে গিয়েছিল। এরকম অবস্থায় উনি রুকইয়া করেছেন আর আল্লাহ ছেলেটাকে একদম সুস্থ করে দিয়েছে। (এই ঘটনার বিস্তারিত রুকইয়াহ বইয়ে এসেছে।)

অতএব অমুসলিমদের জন্যও রুকইয়া করা যাবে, কোন সমস্যা নাই।

(added 26-11-2021)
আমার অভিজ্ঞতা হল, যদি ঠিকমতো রুকইয়া করা যায়, তবে জিন-জাদুর সমস্যায় আক্রান্ত হিন্দুরা কোরআন দিয়ে রুকইয়া করলে বেশ ভালো এবং দ্রুত উপকার পায়। কোনো নাস্তিককে এপর্যন্ত পাইনি। বাকি আমার ধারণা তাদের ক্ষেত্রে আরও দ্রুত ফায়দা হবে।
বিষয়টা এমন যে, বিশাল মরুভূমির মত শুষ্ক অন্তরে পানি ঢালার সাথে সাথেই চুষে নেয়…।

তাই আপনার পরিচিত কেউ যদি জিন-জাদুর সমস্যায় আক্রান্ত হয়, কিংবা আক্রান্ত হয়েছে এমন ধারণা করেন, তাহলে তাকে রুকইয়াহ করতে পরামর্শ দিন। সে মুসলিম হোক, অমুসলিম হোক, কিংবা নাস্তিক হোক। যাইহোক, তাকে আল্লাহর কালাম শুনতে দিন। পানি পড়ে দিন। কমবেশি যাইহোক, ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ।

 


আরও পড়ুন : অমুসলিমদের ঘৃণা করা এবং তাদের রুকইয়াহ সংক্রান্ত বিষয়

মন্তব্য করুন