বহুল প্রচলিত জঘন্য আকিদাগুলোর মাঝে এটা একটা। নিঃসন্দেহে এটা কোরআন বিরোধী আকিদা, বাস্তবতা পরিপন্থী আকিদা, মুর্খতাসুলভ কুফরি আকিদা। আমি কাউকে তাকফির করছি না, কিন্তু বাস্তবেই এটা ইসলাম বিরোধী বাতিল আকিদা।
কোরআন এর কথা হচ্ছে – “মন্দ প্রতিরোধ সেটা দিয়েই করুন, যা উত্তম। তারা যা বলে, আমি সে বিষয়ে সবিশেষ অবগত। আর বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর হে আমার রব! তাদের উপস্থিতি থেকেও আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [মুমিনুন, ৯৬-৯৮]
সুতরাং আপনি যদি শয়তানি যাদুতে আক্রান্ত হন, তবে আপনার কাজ হবে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরামও যাদুতে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁরা তো আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন, শয়তানের কাছে না। সুরা ফালাকের মাঝে আল্লাহ আমাদের সেটাই শিখিয়েছেন।
“আর (আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি) গিরায় ফুঁ দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে” [আয়াত ৪]
আর বাস্তবতা এটাই, ঈমান আসবে; কুফর চলে যাবে। হক আসবে; বাতিল চলে যাবে। কোরআনের এই আয়াতটা তো সবার মুখস্ত –
وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا
“বলুন, সত্য এসেছে; মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।”
এর পরের আয়াতটা কি জানেন?
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ۙ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا
“আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত, গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়..। [বানি ইসরাইল, ৮১-৮২]
সুতরাং যদি ক্ষতি থেকে বাঁচতে চান আর আল্লাহর রহমত আশা করেন, তবে কুফর থেকে দূরে থাকেন, এবং কোরআন দিয়ে রুকইয়াহ করেন।
আল্লাহ আমাদেরকে জানার, বুঝার এবং মানার তাওফিক দিক, আমিন!
মন্তব্য করুন