“আসসালামু আলাইকুম।
জ্বিনে আসর এবং বিয়ে ভাঙ্গার জাদুর লক্ষন দুটোই মিলে, কোন আমল দিয়ে আগে শুরু করব। নামায পড়তে ইচ্ছা করে না, অলস বসে কাজা করে ফেলছি, এমনকি এর কষ্ট বা অনুতাপও কাজ করে না। মানসিক বিষন্নতা কাজ করে প্রচুর। বেচে থাকার চেয়ে মরে গেলে ভালো, এমন অনুভব হয় অনেক বেশি। নিজেকে ব্যস্ত রাখতে অন্য সব কাজ করতে ইচ্ছা হলেও আল্লাহকে ডাকতে ইচ্ছা হয় না।”
মেসেজটা পেয়েছি একজন থেকে।
ওয়াআলাইকুমুসসালাম। আপনি শুরু করবেন একদম বেসিক থেকে। বেশি বেশি কালেমা পড়বেন। প্রতিদিন একশবার। সালাত আদায় করবেন। আযান হবার সাথে সাথে সালাতে দাঁড়িয়ে যাবেন।
ভাল না লাগলেও করবেন। সবকিছু যে ভাল লাগতে হবে এমন নয়। ভাল না লাগলেও অনেক কিছু করতে হয়। তাহলেই সে ভাল না লাগাটা ভাল লাগায় পরিণত হয়।
অলস, চুপচাপ বসে থাকার দ্বারা কোনও ফায়দা হয় না। কাজেই সময় কাজে লাগাবেন। যতদিন দুনিয়াতে থাকেন নিজেকে নানামুখি কাজে নিয়োজিত রাখেন।
চাইলে সরাসরি রুকইয়াহ করতে পারেন। এরপর রাকির পরামর্শ অনুযায়ী রুকইয়াহ করবেন। সেলফ রুকইয়াহ করতে চাইলে বদনজরের রুকইয়াহ, সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা, সুরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস তেলাওয়াত করবেন। বদনজরের রুকইয়াহর নিয়মে গোসল করবেন। প্রচুর দুয়া করবেন, সাধ্যমত দান-সাদাকা করবেন।
আল্লাহ সহজ করুন আমীন।
আরেকজন মেসেজ দিয়েছেন এমন –
প্রচণ্ড বিষন্নতা হতাশা, থেকে বেরোনোর কোনো উপায় আছে কী? পরিপূর্ণ পর্দা নামাজ সবসময় জিকিরের মধ্যে থেকেও ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি নেই, পারিবারিক অশান্তি এবং জ্বীন এর নজরের সমস্যা আছে, শয়তান তো সবসময় সুইসাইডের জন্য খোঁচা দেয়।
উত্তর হল, ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে পারেন। শয়তানের কাজ শয়তান করবে। আপনার কাজ আপনি করবেন। আপনি শয়তানের কাছে পরাজিত হবেন না।
জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে আমাদের। জীবন ভাল যাক, খারাপ যাক, আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহই উত্তম ফায়সালাকারী। আল্লাহ তায়ালার সাহায্য পাবার উপায় হল সালাত ও সবর। কাজেই সবর করেন, বেশি বেশি সালাত আদায় করবেন। নফল সালাত যেমন তাহাজ্জুদ পড়েন, সালাতুল হাজত পড়েন। প্রতি ওয়াক্তের সুন্নতে গাইরে মুয়াক্কাদা, নফল এসব পড়েন। পড়ে পড়ে দুয়া করেন।
ইংশা আল্লাহ ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে। আল্লাহ সহজ করুন, কবুল করুন। আমীন।
মন্তব্য করুন