বাচ্চারা আসরের পর, মাগরিবের আগে/পরে বাইরে থাকতে পারবে। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১। আল্লাহ তায়ালা দিনকে বানিয়েছেন কাজের জন্য, রাত বানিয়েছেন বিশ্রামের জন্য। শয়তান করে এর উলটো। সেজন্য দেখা যায়, যারা শয়তানে আক্রান্ত তারা প্রায়ই রাতে ঘুমাতে পারে না/ঘুমায় না। মাগরিবের আজান দিলে শয়তানের মনেহয় ভোর হয়। তারা তাদের ডেরা থেকে বের হয়। এইসময় পরিত্যাক্ত জায়গাতে শুধু বাচ্চারা না, বড়রা গেলেও সমস্যা হতে পারে।
২। বর্তমানে এমন পরিত্যাক্ত জায়গা কম। গ্রামেই কম, শহরেতো আরও কম। কাজেই অত চিন্তার কিছু নেই ইংশা আল্লাহ।
৩। তবে অচেনা জায়গায় বেড়াতে গেলে (বিশেষ করে লোক চলাচল কম এমন স্থানে) সতর্ক থাকা উচিত হবে। সেক্ষেত্রে মাগরিবের ওয়াক্তের ১০ মিনিট আগে ঘরে অবস্থান করা যেতে পারে। আবার সালাত আদায় করার ২০ মিনিট পরে প্রয়োজন হলে বাইরে যাওয়া যেতে পারে।
৪। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চারা যেন মাগরিবের কিছু সময় আগ থেকে পর পর্যন্ত কোনো গাছ থেকে না লাফ দেয়, কোনো বিল্ডিং বা দেয়াল থেকেও যেন না লাফায়, খেলাচ্ছলে কোনো গর্তে পেশাব না করে (সব সময়ের জন্য নিষেধ এটা) ।
৫। সর্বোপরি সকাল, সন্ধা ও ঘুমের আগের হেফাজতের আমলে তাদের অভ্যস্থ করতে হবে। না পারলে অভিভাবকরা পড়ে ফু দিবে তাদের গায়ে। এরপর আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। কিছু হবে না ইংশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন