বদনজর বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে একটা কমন প্রশ্ন আসে, তা হল
“হলিউডি সেলিব্রেটিদের নজর লাগে না কেন? নাটক-সিনেমা করে ওদের নজর লাগে না কেন? সারা দুনিয়ার মানুষে তো ওদের দেখে…”
.
এখানে তিনটা বিষয়,
প্রথমতঃ বদনজর সাধারণত প্রসিদ্ধ কিছুতে লাগে না। কারণ নজর তো মূলত মনের ভেতর আসা “ওয়াআআও…!” ফিলিংসের ইফেক্ট। আর সো কল্ড সেলিব্রেটিদের সম্পর্কে মানুষ এমনেই বিরাট ধারণা করে, ওরা যতটুকু, তার চেয়ে আরও অনেক বেশি ভাবে। এই কারণে ওদের নজর লাগার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।
এবিষয়ে আরও জানতে “বদনজর কখন লাগে, কখন লাগে না” এধরনের শিরোনামে একটা লেখা আছে রুকইয়াহ বইয়ের বদনজর অধ্যায়ে, সেটা দেখে নিয়েন।
.
দ্বিতীয় বিষয় হল,
আপনাকে মানতে হবে— পর্দার সামনে যে দুই চার মিনিট তাদের লাফঝাঁপ দেখছেন, এর বাইরে তাদের একটা বাস্তব জীবন আছে। টিভি সিনেমার পর্দায় যা দেখেন, সেটা তো বহু সময় ধরে অভিনয় করে বানানো তামাশার হাইলি এডিটেড ভার্শন। বাস্তবতার সাথে এর কিই বা সম্পর্ক? এসব এত পরিমাণে এডিট করা হয়, এনিমেশন কিংবা কার্টুনের সাথে এগুলার বেশি একটা পার্থক্য করাই উচিত না!
ওরা যেটা কল্পনা করে সেটাই আপনাকে দেখায়, হাররোজ ওদের সাথে যা ঘটে— সেটা তো আপনাকে দেখায় না।
.
তৃতীয় বিষয় হল, ওরা যে ব্যক্তি জীবনে খুব সুখ-শান্তিতে থাকে তা কিন্তু না!
আপনার তো জানার কথা এসব অভিনয় শিল্পীরা বেশিরভাগেরই দেখা যায়, বিভিন্ন খারাপ রোগ-শোক আর অভাব অনটনে ভুগে ভুগে শেষ জীবনে হাসপাতালের বেডে করুন মৃত্যু ঘটে। কতজন আগেই সুইসাইড করে কিংবা মারা পড়ে।
পারিবারিক জীবনে তারা কত অসুখী হয়, তাতো প্রায় সবাই জানে। গত দুই বছরে দ্বীনি – বদদ্বীনি কতজন সেলিব্রেটির বিচ্ছেদের কাহিনী হাট-বাজার হল, তা কি নাম ধরে ধরে মনে করিয়ে দেয়া লাগবে?
—
শেষ কথা হল, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “বদনজর সত্য!”
[মুত্তাফাক আলাইহ]
.
রাসুলুল্লাহ বলেছেন “সত্য” সুতরাং আমি বিশ্বাস করব। আর কোন কথা আছে?
কালকেই একজন এই প্রশ্ন করছিল।
জাযাকাল্লহু খইরান