Ruqyah Support BD

লিখেছেনঃ উম্মে আব্দুল্লাহ

পাশের বাসার ভাবী স্বপ্নে দেখছেন যে, কেউ একজন উনাকে বলছেন উনার হাজবেন্ডের নামে একটা খাসি(ছাগল) দেয়ার কথা। ব্যাস!! পরের দিনই উনি মনস্থির করলেন যে উনি একটা খাসি মাজারে দান করবেন। উনার মেয়ের কাছে ঘটনাটা শুনার পর আমি জিজ্ঞেস করলাম, দিলে কি হবে আর না দিলে কি হবে? ও বললো কিছুই না স্বপ্নে দেখছে তাই দিবে। কত টাকাই তো খরচ করে এই কটা টাকা না হয় খরচ করলো। না দিলে যদি কিছু হয়। বুঝলাম ওদের মনে ভয় জেঁকে বসেছে। নিষেধ করলেও শুনবেনা।

তাই বললাম, এমন স্বপ্ন তো দেখতেই পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ওটা করতে হবে!! বেশিরভাগ স্বপ্নেরই তো কোন মানে থাকেনা। তাহলে এইটা এত সিরিয়াসলি নেয়ার কি আছে? না হয় আরো কিছুদিন দেখবে যে আবার স্বপ্ন দেখে কিনা।  তারপর না হয় দেখা যাবে। কিন্তু কোন কাজই হলো না।। ভয় ওদের পেয়ে বসেছে। অবশ্য এর পেছনে কারনও আছে।

উনারই বড় ভাইয়ের ছেলে আর ছেলে বউকে নিয়ে বেশ ভালোই সমস্যায় পড়েছিলেন উনারা।। উনারা আগে একই সাথে একই বাসায় থাকতেন। কিন্তু পরে আলাদা হয়ে দুজনই নতুন বাড়ি করেন। আর সমস্যাটা তার পর থেকেই। বাড়িতে জ্বীনের উপদ্রব ছিলো। অনেক কাহিনীও হইছে। আমি অবশ্য সে সময় বাসায় ছিলাম না। পরে শুনেছি সব।

তো যাই হোক, উনারা কই থেকে এক ফকির নিয়ে আসছিলেন আর উনি কি কি সব পুকুরে দান করতে বলেছেন। উনারা তাই করেছিলেন কিন্তু কাজ হয়নি। পরে আবার নতুন ফরমায়েশ। আবার জোড়া খাসি। কোন কিন্তু ছাড়াই উনারা তাই করলেন।। কারন উনারা ভয়ের কাছে পরাজিত। শুধু উনারা নয় আমাদের বেশিরভাগই এসব অমুলক ভয়ের বশবর্তী হয়ে শিরক কুফরের মত ভয়ংকর গুনাহ করে ফেলছি। অথচ আমরা মিথ্যাবাদী জ্বীন কিংবা ভন্ড ফকিরের কথা না শুনে নিজেরাই এর সমাধান করতে পারি কুর’আনুল কারীমের মাধ্যমে।

আর তাছাড়া আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন জ্বীনকে না মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত করে পাঠিয়েছেন।জ্বীনদের মানুষকে ভয় পাওয়া উচিত মানুষ জ্বীনদের নয়।।
কিন্তু আমরা নিজেদের অজ্ঞতার দরুন জ্বীনকে সুপ্রিম পাওয়ারের অধিকারী ভাবছি। আর আমাদের এই অমুলক ভয়ের কারনেই আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। সবার আগে আমাদের ভয়কে জয় করতে হবে।

ইনবক্সে আপুদের কমন প্রশ্নই হচ্ছে আপু রুকিয়া করাতে চাচ্ছি কিন্তু ভয় হচ্ছে। জ্বীন আসলে কি করবো?

তাদের জন্য একটাই কথা আগে ভয় পাওয়া ছাড়ুন আর রব্বুল আ’লামীনের উপর ভরসা রাখুন। সব কিছু সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করুন