সিহরের আয়াত (সংক্ষিপ্ত)
بِسْمِ اللّٰهِ الرّحْمنِ الرّحِيم
- وَ اَوْحَیۡنَاۤ اِلٰی مُوۡسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاکَ ۚ فَاِذَا ہِیَ تَلْقَفُ مَا یَاۡفِكُوۡنَ ﴿۱۱۷﴾ۚ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوۡا یَعْمَلُوۡنَ ﴿۱۱۸﴾ۚ فَغُلِبُوۡا ہُنَالِکَ وَانۡقَلَبُوۡا صٰغِرِیۡنَ ﴿۱۱۹﴾ۚ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَۃُ سٰجِدِیۡنَ ﴿۱۲۰﴾ۚۖ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۲۱﴾ۙ رَبِّ مُوۡسٰی وَہٰرُوۡنَ ﴿۱۲۲﴾ [الاعراف]
[১১৭] তখন আমি মূসাকে আদেশ দিলাম যে, তুমি তোমার লাঠিখানা নিক্ষেপ করো; আর অমনি তা তাদের বানানো বস্তুগুলোকে গিলে ফেলতে লাগল। [১১৮] ফলে সত্য প্রমাণিত হল আর তাদের কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে গেল। [১১৯] এভাবে তারা সেখানে পরাভূত হল এবং লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে গেল। [১২০] যাদুকরেরা সেজদায় পড়ে গেল। [১২১] তারা বলল, “আমরা বিশ্বপ্রভুর প্রতি ঈমান এনেছি; [১২২] যিনি মূসা ও হারূনের প্রভু।” (সুরা আরাফ)
- فَلَمَّاۤ اَلْقَوۡا قَالَ مُوۡسٰی مَا جِئْتُمۡ بِہِ ۙ السِّحْرُ ؕ اِنَّ اللہَ سَیُبْطِلُہٗ ؕ اِنَّ اللہَ لَا یُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِیۡنَ ﴿۸۱﴾ وَیُحِقُّ اللہُ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِہٖ وَلَوْ کَرِہَ الْمُجْرِمُوۡنَ ﴿۸۲﴾ [یونس]
[৮১] তঃপর যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন মূসা বলল, “তোমরা যা এনেছো তা যাদু। অচিরেই আল্লাহ তা নস্যাৎ করে দেবেন। আল্লাহ তো ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের কর্ম ঠিক রাখেন না। [৮২] এবং অপরাধীরা পছন্দ না করলেও আল্লাহ তাঁর বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে থাকেন।” (সুরা ইউনুস)
- وَ اَلْقِ مَا فِیۡ یَمِیۡنِکَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوۡا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوۡا کَیۡدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیۡثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾[ طٰہٰ ]
[৬৯] তুমি তোমার ডান হাতে যা আছে তা নিক্ষেপ করো, (দেখবে) তারা যা কিছু তৈরী করেছে এটা তা সব গিলে ফেলবে। তারা যা তৈরী করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কৌশল। যাদুকর যেভাবেই আসুক (যাদুবিদ্যায় যতই পারদর্শী হোক), সফল হয় না।” (সুরা ত্বহা)
- وَاتَّبَعُوۡا مَا تَتْلُوا الشَّیٰطِیۡنُ عَلٰی مُلْکِ سُلَیۡمٰنَ ۚ وَمَا کَفَرَ سُلَیۡمٰنُ وَلٰکِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ کَفَرُوۡا یُعَلِّمُوۡنَ النَّاسَ السِّحْرَ ٭ وَمَاۤ اُنۡزِلَ عَلَی الْمَلَکَیۡنِ بِبَابِلَ ہَارُوۡتَ وَمَارُوۡتَ ؕ وَمَا یُعَلِّمٰنِ مِنْ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوۡلَاۤ اِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَۃٌ فَلَا تَكْفُرْ ؕ فَیَتَعَلَّمُوۡنَ مِنْہُمَا مَا یُفَرِّقُوۡنَ بِہٖ بَیۡنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِہٖ ؕ وَمَا ہُمۡ بِضَآرِّیۡنَ بِہٖ مِنْ اَحَدٍ اِلَّا بِاِذْنِ اللہِ ؕ وَیَتَعَلَّمُوۡنَ مَا یَضُرُّہُمْ وَلَا یَنۡفَعُہُمْ ؕ وَلَقَدْ عَلِمُوۡا لَمَنِ اشْتَرٰىہُ مَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنْ خَلَاقٍ ۟ؕ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِہٖۤ اَنۡفُسَہُمْ ؕ لَوْ کَانُوۡا یَعْلَمُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾ [البقرۃ]
সোলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানেরা যা পাঠ করত তারা তা মানতে লাগল। তবে সোলায়মান কুফরি করেনি, বরং শয়তানেরাই কুফরি করেছে। তারা মানুষকে যাদু শেখাতো। আর ব্যাবিলনে দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের কাছে যা নাযিল করা হয়েছিল (তারা তার প্রতিও ঝুঁকে পড়ল)। অথচ ঐ দুই ফেরেশতা কাউকে (সেই জিনিস) শেখানোর সময় (আগেই) বলে নিত, “আসলে আমরা কিন্তু একটি পরীক্ষা, তাই (আমাদের শেখানো জিনিস দ্বারা) কুফরি করো না।” তার পরও তারা তাদের কাছ থেকে এমন জিনিস শিখত যা দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারত। যদিও তারা আল্লাহর হুকুম ছাড়া ঐ জিনিস দ্বারা কোন ক্ষতি করতে পারত না। তারা যা শিখত তাতে তাদের ক্ষতিই হত, কোন উপকার হত না। তারা নিশ্চয়ই জানত যে, যে ব্যক্তি এই জিনিস কিনবে (আয়ত্ত করবে) তার জন্য পরকালে (কল্যাণের) কোন অংশ নেই। যে জিনিসের বিনিময়ে তারা নিজেদেরকে বিক্রি করে দিয়েছে তা কত খারাপ! যদি তারা (তা) জানত! [বাকারাঃ১০২]
- بَلْ نَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَی الْبَاطِلِ فَیَدْمَغُہٗ فَاِذَا ہُوَ زَاہِقٌ ؕ وَلَكُمُ الْوَیۡلُ مِمَّا تَصِفُوۡنَ ﴿۱۸﴾ [ الۡانۡۢبِیَآءِ]
বরং আমি সত্য দ্বারা মিথ্যার ওপর আঘাত করি; তখন সত্য মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় আর তখনই মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর তোমরা (আল্লাহর নামে) যা বলছ তার কারণে তোমাদের জন্য বড়ই দুর্ভোগ রয়েছে! (সুরা আম্বিয়াঃ১৮)
- وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰی مَا عَمِلُوۡا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰہُ ہَبَاۤءً مَّنۡثُوۡرًا ﴿۲۳﴾ [ الۡفُرۡقَانِ]
আমি তাদের কাজগুলোর দিকে মনোনিবেশ করব এবং সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করব। (সুরা ফুরকানঃ২৩)
- قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ ﴿۱﴾ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ﴿۲﴾ وَ مِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ ﴿۳﴾ وَ مِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِی الْعُقَدِ ﴿۴﴾ وَ مِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴿۵﴾
(১) বল, আমি প্রভাতের প্রভুর আশ্রয় চাই (২) তাঁর সকল সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে, (৩) অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা নেমে আসে, (৪) সেই রমণীদের অনিষ্ট থেকে যারা (যাদু করার জন্য) গ্রন্থিতে ফুঁ দেয়, (৫) এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। [সুরা ফালাক]