“Ruqayyah Chattogram পেইজের মুজাহিদ ভন্ড মানুষকে কুফরিতে ইনভলব করছে, জ্বীন এর সাহায্যের প্রতি ডিপেন্ডেন্ট এবং রোগীদের লোভনীয় কথার জ্বালে ফেলে তাদের টাকা পয়সা নিয়ে ঈমানে বেচে খাচ্ছে এই প্রতারক। আপনারা এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে একদম চুপটি মেরে বসে আছেন, অথচ আপনাদের কি কিছুই করার নেই আসলেই? আমি আন্তরিক অনুরোধ করবো এই লোক কে আপনারা ধরুন এবং প্রমান করতে বলুন যদি সে সঠিক হয়ে থাকে, জ্বীন ক্যাচিং করে জ্বীনকে মুসলিম বানাচ্ছে এর প্রমান দিতে বলেন সেই সাথে সমস্যা ১০০% ক্লিয়ার এমন রোগীদের সত্য রিভিউ শেয়ার করতে বলেন। এই প্রতারকের চিকিৎসা নিতে আমার সর্বমোট ৫০,০০০ টাকা খরচ গেছে এবং ক্যাচিং রুকিয়া করার পর সমস্যা এতো বেড়ে গিয়েছে যে ১ লক্ষ্য টাকা ডাক্তারি চিকিৎসায় ব্যয় হয়েছে। আমাদের সমস্যা ১% ও সমাধান করতে পারলো না। আমি আশা করছি আপনাদের মাধ্যমে এই ভন্ডের ভন্ডামি সবার সামনে উন্মুক্ত হোউক এবং আইনের আওতায় আনা হোক। আমার রক্ত পানি করা উপার্জন, ভাই কলিজা ফেটে যায় কষ্টে”
মেসেজটা পেয়েছি একজন থেকে।
বিষয়টা দুঃখজনক। এমন আরও নানারকম অভিযোগ আমরা পাই। আমাদের কাছে এর প্রতিকার চাইবার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
- আপনার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। কাজেই অভিযোগ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাকেই করতে হবে। এখন আমি যতই জানি কে ডাকাতি করেছে তাকে ধরতে পারবো না। সে-ই ক্ষমতা আমার নেই।
- রুকইয়াহ ব্যাপারে আমরা কোন কোন বিষয় ফলো করি, কোন কোন বিষয় করি না এটা আমাদের টাইমলাইন, পেইজ, গ্রুপ একটু ঘাটলেই বোঝা যাবে। এর বাইরে রুকইয়াহর নামে আরও অনেক কিছুই চলছে। জায়েজের নামে চলছে আরও অনেক কিছু। প্রতিটা ধরে ধরে জবাব দেয়া সম্ভব নয়। আপনাদের বুঝে নিতে হবে যেসব আমরা বলছি না, প্রমোট করছি না – তার মানে হল সেগুলো আমরা সমর্থন করি না।
- আমার পেইজে কয়েকজন রাকির নাম ঠিকানা দেয়া আছে। এর বাইরে রাকি নেই? আছে। অনেক আছে। ব্যাঙের ছাতার মত রাকি আছে। তারপরেও তাদের নাম-ঠিকানা নেই কেন? কারণ তাদের কাছে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারটা আপনার উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আর যাদের নাম আছে তাদের কাছে যেতে পারেন, এরপরেও খোজ নিয়ে যাবেন। আমি কোনভাবেই তাদের কাছ থেকে কোনও সুবিধা নিচ্ছি না, নেয়ার ইচ্ছাও নেই। যার নুন খাই, তার গুণ গাই -টাইপের কোনও ব্যাপার নেই। ভবিষ্যতে যদি কারও ব্যাপারে এতটুকু কনফিডেন্স আসে যে তার নাম লিস্টে দেয়া যায় তাহলে লিস্ট আরও বড় হতে পারে।
- আমরা চুপ করে বসে আছি কথাটা ঠিক নয়। কেউ জানতে চাইলে বলছি যে, তার কার্যকলাপ আমরা সমর্থন করি না। হাশাপের টাইমলাইনেই এই জাতীয় প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। আপনার উচিত ছিল যাবার আগেই চেক করা বা জিজ্ঞেস করা। তবে আমরা যতই মানা করি কিছু মানুষ তাদের কাছে যাবেই। কারণ তাদের উদ্দেশ্য “উপকার” পাওয়া। কিভাবে উপকার পেল সেটা বিবেচ্য নয়।
- আপনার ক্ষোভ বুঝতে পারছি। আপনিও বুঝতে চেষ্টা করুন, হাশাপে ক্ষোভ প্রকাশ করা আর বাস্তবে পদক্ষেপ নেয়া এক বিষয় নয়। আপনি ভুক্তভোগি হয়ে কিছু করতে পারছেন না। আমরা দূর থেকে কী করবো?
আপনার মেসেজের কারণে ইংশা আল্লাহ চট্টগ্রামের ভাই-বোনরা আরও চিন্তা-ভাবনা করবেন কোথাও যাবার আগে। আল্লাহ সহজ করুন। আমীন।
(c) আহমাদ রবিন