নয়া কবিরাজ রাকিদের শয়তানি নিয়ে সবাই যখন কথা বলতে শুরু করেছে। তখন দুইটা বাটপারি করে এসব চাপা দিতে চাচ্ছে,
একটা হল গীবতের গল্প। এটা পুরাতন জিনিস। অতীতেও দেখেছেন, কোনো বাতিল ফিরকা কিংবা ভ্রান্ত লোকের সমালোচনা করা হলে গীবতের কথা বলে থামাতে চেষ্টা করেছে।
এটা নিয়ে আগে বিস্তারিত বলা হয়েছে। আর যাইহোক, এটা গীবত না। কেউ মানুষের ওপর জুলুম করলে কিংবা কারও জন্য মানুষ গোমরাহ হলে তার সমস্যার ব্যাপারে কথা বলাটাই জরুরি। শরিয়ার বিধান অনুযায়ী এটা জায়েজ থেকে ফরজ পর্যন্তও হতে পারে।
দ্বিতীয়টা হল, সাক্ষী ছাড়া নাকি কারও অপরাধের ব্যাপারে বলা যাবে না। সর্যি গাইজ। এখানেও ঘাপলা আছে।
সাক্ষির প্রয়োজন হতো যদি শরঈ আদালতে মামলা উঠতো। বিচারক সাক্ষ্য ও প্রমাণ দেখে রায় দিত।
কেউ যদি নিজে জুলুমের স্বীকার হয়, কিংবা অপরাধ হতে দেখে, সে অবশ্যই মানুষকে বলতে পারবে। আর মানুষকে বলার দ্বারা সমস্যা প্রতিকারের সম্ভাবনা থাকে তাহলে তো বলা জরুরী। আর আদালত থাকলে সে নিজেই একজন সাক্ষী হইতো, সাক্ষী হওয়ার জন্য আবার আরেকটা সাক্ষি লাগবে কেন। যে জুলুমের স্বীকার, সে সাক্ষী না পেলেও আদালতে অভিযোগ করতে পারে। তখন বিচারক অন্য কোনো প্রমাণ, কসম এবং জিজ্ঞাসাবাদের ওপর ভিত্তি করে রায় দিবে।
—
এখানে এদের কুটচালটা দেখেন, অল্পকিছু ব্যতিক্রম ছাড়া রোগিরা সাধারণত একা থাকে, সাথে হয়তো একজন অভিভাবক/আত্মীয় যায়। এই অভিভাবক শ্রেণি সাধারণত মুরব্বি হয়, যারা ফেসবুক ইউজ করে না। অনেক সময় সাথে কেউই থাকে না। তাহলে আপনি রোগীর ওপর জুলুম করলে, নোংরামি করলে ফেসবুকে এর সাক্ষী আনবে কিভাবে? আর রোগী যা বলবে, সব তো জীনের নামে চালিয়ে দিবে। অন্য কেউ বললে বলবে হিংসা বা ষড়যন্ত্র করতেছে। পুরা গায়ে তেল মেখে চুরি করার মত অবস্থা। মজা না?
বিপদে পড়েছে যখন বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে একই অভিযোগ আসছে।
এবার গীবত, মুমিনের দোষ গোপন করা এইসব ইসলাহি বয়ান শুরু করসে।
আরেকটা বিষয় হল, এরা যেসব ম্যালপ্রাক্টিসের কথা কয়েক বছর আগে অস্বীকার করছিল, সেসব কিংবা তারচেয়ে গুরুতর অভিযোগ এখন প্রকাশ্য, অনেক যায়গা থেকে অভিযোগ আসার পর তারাও বাধ্য হয়ে স্বীকার করছে এবং এসব জায়েজ বানানোর জন্য বিভিন্ন গল্প ফাঁদছে।
এখনো যদি সাবধান না হন, জুলুমের ব্যাপারে মুখ না খোলেন, অন্তত যারা বলছে তাদেরকে সমর্থন করতে না পারেন, তাহলে আর কখন?