এটা মাঝে মাঝে শুনি। কিছুদিন রুকইয়াহ করে, শরীর ভাল লাগে, অফ করে দেয়। এরপর আবার যখন খারাপলাগে তখন আবার রুকইয়াহ করে। এভাবেই কয়েকবার চলার পর প্রশ্ন চলে আসে, এভাবেই কি সারাজীবন থাকতে হবে, স্থায়ী সমাধান কি?
আবার দীর্ঘদিন থেকে রুকইয়াহ করছে, সমস্যা বাড়ে-কমে, কিছুদিন ভাল থাকে- আবার খারাপ লাগে। তাদের মুখেও অনুচ্চারিত প্রশ্ন, আর কত করবো। ভাল/স্থায়ী কিছু নেই?
মাঝে মাঝে ভাবি দুনিয়ার জীবনের পেরেশানির সমাধান কি? যা স্থায়ী? একটাই চিন্তা আসে, তা হল মৃত্যু। মৃত্যুই হল এসব পেরেশানির স্থায়ী সমাধান। মরে গেলে আর জিন, জাদুতে আসর করবে না।
কিন্তু এই কথাতো বলা যাবে না। তাই চুপ থাকি, অন্য কথায় চলে যাই। মানুষ মনে হয় বোঝেই না বদনজর, জ্বিন, জাদু এসব একটা রোগ। রোগ একবার ভাল হলে আবার হতেই পারে। আর ভাল হয়েছে কিনা সেটাও তো কোনো বিশেষজ্ঞ বলে নি। নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আচ্ছা আপনারা কি ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলেন, ডাক্তার সাহেব ছোট বেলায় জর এসেছিল বা সর্দি লেগেছিল। ওষুধ খেয়ে ভাল হয়েছিল। এখন আবার জর/সর্দি হল কেন? এমন মেডিসিন নেই যা খেলে আর এসব হবে না? পার্মানেন্ট সলুশন নেই? সামান্য জ্বর, সর্দির পার্মানেন্ট সলুশন নাই?
না করে থাকলে করে দেখবেন। ইংশা আল্লাহ তারা আমার মত এড়িয়ে যাবে না।
জ্বি, আপনার অধিকার আছে ডাক্তারকে প্রশ্ন করার। তার সময় আপনি টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছেন। তাকে আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন। আর ডাক্তারও উত্তর দিবে। দিয়ে তার ফি হালাল করবে।
যেখানে ফ্রী পরামর্শ পাবেন সেখানে কিন্তু এই প্রশ্ন করবেন না। আপনি সমস্যা বলবেন তিনি পরামর্শ দিবেন। এখানেই শেষ। আপনার কৌতূহল নিবৃত্ত করতে চাইলে যেখানে গেলে সার্ভিস ফি নেয় সেখানেই যাবেন। তারা ধৈর্য্য ধরে, এটিচিউড ঠিক রেখে আপনার কথা শুনে জবাব দিবেন। আর যারা ফ্রী দেয় তাদের সময় কম, অন্যরাও যেন পরামর্শ নিতে পারে সেদিকে খেয়াল করবেন। আপনিই বাড়তি কথা বললে/শুনতে চাইলে আরেকজন পিছনে পড়ে যাবে। তার হয়ত টাকা দিয়ে সার্ভিস নেয়ার ক্ষমতা নেই, আবার কৌতুহল কম। আপনিও বেচে গেলেন, অন্যের ইটিচিউড দেখা লাগলো না, আবার জবাবও পেলেন।
এই হল পার্মানেন্ট সলুশ্যন সংক্রান্ত বকবক।
মন্তব্য করুন