পিরিয়ড সময় অর্থাৎ মাসিক স্রাব চলাকালীন রুকইয়াহ করা সম্ভব। পিরিয়ডের সময় কুরআন তেলাওয়াত করা যায় না। কিন্তু মাসনুন আমল করা যায়, (লিংক – মাসনুন আমল: যাদু, জ্বিন এবং অন্যান্য ক্ষতি থেকে বাচার উপায়)। তেলাওয়াতের পরিবর্তে অডিও শোনা যায়। (অডিও লিংক- রুকইয়াহ অডিও ডাউনলোড)।
গোসলের পানি, খাওয়ার পানি -অন্য কেউ পড়ে দিলে সেগুলোও যথানিয়মে ব্যবহার করতে পারবেন।
কিন্তু আমাদের বোনদের অনেকেই যে সমস্যার কথা বলেন তা হল পানি রেডি করে দেয়ার কেউ নেই। তাই রুকইয়াহ করছেন না, বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট।
চারটা ছবি দিলাম (মূল পোস্ট)। মোট ১০ টা দোয়া। এই দু’আগুলো পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খাবেন। গোসলের পানিতে ফু দিয়ে গোসল করবেন। কতবার পড়তে হবে? আপনার যতবার ইচ্ছা, ততবার। যতবেশি পড়বেন তত ভাল হবে ইন শা আল্লাহ।
- এখানে দেখুন দোয়াগুলো রুকইয়ার দোয়া (সংক্ষিপ্ত)। (লিংকে ৩বার/৭বারের কথা আছে, এগুলো কম সংখ্যায় পড়লেও উপকার হবে। চিন্তা নেই।)
ইচ্ছা হলে রুকইয়াহ হিসেবে রুকইয়ার দু’আ গুলো তেলাওয়াতও করতে পারবেন। একেকটা বারবার পড়ে ৩০-৪০ মিনিট তেলাওয়াত করলেন। অনেক ফায়দা হবে ইন শা আল্লাহ। সুবিধার্থে পিডিএফের লিংকও দেয়া হল। ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
- পিডিএফ ডাউনলোড – রুকইয়ার আয়াত, দোয়া এবং অন্যান্য পিডিএফ
আর নিজেকে সব ধরনের ক্ষতি থেকে হেফাজতে রাখতে নিচের লিংকের আমলগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা কখনও বাদ দেয়া উচিত না।
—
ইস্তেহাযা এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় নয়, ইস্তিহাযার সময় নামাজ-তেলাওয়াত সবই করা যায় বা করতে হয়। যারা জানেন না ইস্তিহাযা কি তারা জেনে নিবেন। হায়েজ (পিরিয়ড) এবং নেফাস (সন্তান জন্ম দেবার পর যে রক্তস্রাব হয়) অবস্থায় মেয়েদের সালাত, সাওম আল্লাহ মাফ করেছেন। সালাত একেবারে মাফ হলেও, সাওম পরে আদায় করতে হয়।
তবে এই অবস্থায় ‘সাধারণ তিলাওয়াত করা যায় না’ এই নিষেধাজ্ঞার চক্করে পড়ে অনেকেই একদম গাফেল হয়ে যান। হয়ত মনে করেন মুখ দিয়ে “আল্লাহ” শব্দটাও এই অবস্থায় বের করা যাবে না। অলসতার কারনেই হোক বা অজ্ঞতার কারণেই হোক অনেকেই এই সময় আমলে দুর্বল হয়ে যান, করেন না বা করতে চান না। কিন্তু এটা আদৌ উচিত নয়।
পিরিয়ড হোক বা নেফাস অবস্থায় থাকেন, আপনাদের উচিত হবে আল্লাহর যিকর, দুয়া, দরূদ, ইস্তেগফার করতে থাকা। এবং কুরআনের যেসমস্ত আয়াত হেফাজতের আমল হিসেবে বা দুয়া হিসেবে পড়ার অনুমতি আছে সেগুলো পড়া। এই প্রসংগে একটি ফতোয়া পাবেন এই লিংকে – পিরিয়ড চলাকালীন রুকইয়াহ করার বিধান।
… তাহলে বোঝা গেল, কুরআনুল কারীমে যেসব দুয়ার আয়াত আছে, যেসব আয়াতে আল্লাহর বড়ত্ব, প্রশংসা, জিকির ইত্যাদি আয়াত আপনি নিজের সুরক্ষার জন্য, শয়তান থেকে হেফাজতের জন্য পড়তে পারবেন। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে গিয়ে এই কথাও বলেন, পিরিয়ড/নেফাসের সময়টাতে মেয়েরা প্রতি সালাতের ওয়াক্তে কিছু না কিছু জিকির, দুয়া করবে, গাফেল হবে না। [এটা বাধ্যতামূলক না, গুরুত্ব বোঝানোর জন্য লিখলাম ]
আল্লাহ তায়ালা নেক আমল করা সহজ করে দিন, কবুল করে নিন। তৌফিক দান করুন। আমীন।
মন্তব্য করুন