Ruqyah Support BD

অনিয়মিত পিরিয়ড এবং ইস্তেহাযার সমস্যা

লিখেছেনঃ উম্মে আব্দুল্লাহ

আজকাল এই সমস্যাটা নিয়ে অনেক আপু গ্রুপে পোস্ট দিচ্ছেন, ইনবক্স করছেন। বেশিরভাগ আপুই বেশ চিন্তিত এই সমস্যা নিয়ে । অনেক আপুর ধারনা যে শুধু তিনিই হয়তো এই ধরনের সমস্যা ফেস করছেন। কিন্তু আপুদের বলবো ভয়ের কিছু নেই। কারণ প্রায় প্রতিটা মেয়েই তার জীবনের কোন না সময় এই ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই এইটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। যদি কোন আপুর এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। আর এর পেছনে মেডিকেল প্রবলেম যেমন- পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম (পিসিওএস), থাইরোয়েড প্রবলেম বা অন্য কোন কারণ আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নিবেন। আর যদি এ ধরনের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন পদ্ধতির দিকে নজর দিবেন। কারণ হঠাৎ করে ওজন হ্রাস বৃদ্ধি, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণের ফলেও এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই উদ্বিগ্ন না হয়ে সমস্যার পেছনের কারণ আগে চিহ্নিত করুন। আর সে মোতাবেক চিকিৎসা নিন। আর যদি এ ধরনের কোন কারণ খুঁজে না পান বা সমস্যা বা পেছনের কারণ আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিনঃ

১। আপনার কি বেশিরভাগ সময়ই মাথা ব্যাথা করে??
২। ঘুম ঠিকমত হয়না?? বোবায় ধরে বা বাজে স্বপ্ন দেখেন??
৩। একা থাকতে ভালোবাসেন বা বিষন্ন থাকেন?
৪। নামাজ কালামে মন নেই?
৫। বেশিরভাগ সময়ই মেজাজ খিটখিটে থাকে?
৬। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা করে? বিশেষতঃ ব্যাকপেইন আছে, কিংবা লজ্জাস্থানে ব্যথা করে?

উপরিউক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার প্যারানরমাল সমস্যা(খারাপ জিনের বা জাদুর বা জ্বীনের নজর) থাকার সম্ভাবনা আছে (সঠিকটা আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনই ভালো জানেন)। তবে এক্ষেত্রে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বেশিরভাগ আপুই বলেন অমুক কবিরাজ বলেছে কু-নজর লাগছে, এই হইছে, অই হইছে বলে তাবিজ,গাছ-গাছড়া,ঝাড়ফুঁক করেন। কিন্তু কোন সমাধানই মিলেনি। এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন।  আপুদের বলবো ফকির কবিরাজের পেছনে না ছুটে কুর’আন-সুন্নাহ মোতাবেক চিকিৎসা করেন রব্বুল আ’লামিন চান তো কিছুদিনের মধ্যেই শিফা লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ।

আমি নিজেও এই ধরনের সমস্যা ফেস করেছি। বিশেষ করে কয়েকবছর যাবত ইস্তেহাযার সমস্যা ফেস করেছি। আর এই ব্যাপারে বিশেষ কোন জ্ঞান না থাকায় সমস্যার সমাধান মিলেনি। রব্বুল আ’লামীনের কাছে চাইতে পারিনি তাই হয়তো। যদিওবা আমি ইস্তেহাযার জন্য রুকিয়া করেছিলাম না । জ্বীনের সমস্যার জন্য করেছিলাম। তারপরেও আল্লাহ রব্বুল আ’লামীনের ইচ্ছায় এই সমস্যা অনেকাংশে কমে এসেছিলো আলহামদুলিল্লাহ। এরপর পুরোপুরি সমাধানের জন্য সাত দিনের ডিটক্স করেছিলাম।এবং এরপর আর সমস্যা হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। যেহেতু সবকিছু মেইন্টেইন করে ঠিকঠাকমত রুকিয়া করা হয়ে উঠে না । তাই জন্য সাতদিনের ডিটক্স প্রোগ্রাম করাটাই আমি প্রেফার করি।

এরপর শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য কয়েকমাস ধরে পিরিওড অনিয়মিত ছিল। অনেকধরনের চিকিৎসা করেও ফায়দা পাইনি তেমন। পরে হিজামা করেছিলাম মাস তিনেক আগে। আর এই তিন মাস যাবত আমার পিরিওড রেগুলার আছে আলহামদুলিল্লাহ। অবশ্য শুধু আমি না অনেক আপুই ফল পেয়েছেন  আলহামদুলিল্লাহ। গতকালও এক আপু বললেন হিজামা করানোর পরে তার পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে আল্লাহ তালার ইচ্ছায়। যেহেতু হিজামা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। এবং রাসূল সাঃ বলেছেন, হিজামা তে রয়েছে সমস্ত রোগের শিফা। (সহীহ বুখারী)

ডিটক্স রুকইয়াহ সম্পর্কে দেখুন এই লিংকেhttps://ruqyahbd.org/detox 

হিজামার ব্যাপারে দেখুন এই লিংকে – হিজামা কী? কেন করা উচিত? রুকইয়ার সাথে এর সম্পর্ক কী?

তাই আল্লাহ তা’আলার উপর ভরসা করে চিকিৎসা নিলে ভালো ফল পাবেন, ইনশাআল্লাহ। আর হ্যাঁ আমাদের এইটা মাথায় রাখতে হবে দুঃখ দুর্দশা দূর, অসুখ থেকে শিফা দানের মালিক একমাত্র তিনিই। তাই তাঁর উপর তাওয়াককুল করতে হবে এবং তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।

আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন আমাদের সকল প্রকার খারাবি থেকে হেফাজত করুন এবং সকলকে সুস্থ্যতা দান করুন।(আমীন)

মন্তব্য করুন